ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিটিশ ডিফেন্স কমিটি চেয়ারম্যান লুইস

ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপ হবে উগ্র ও বেপরোয়া

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপ হবে উগ্র ও বেপরোয়া

ন্যাটো জোটকে ‘সেকেলে’ বলায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের কমন্স কমিটির চেয়ারম্যান জুলিয়ান লুইস। যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোট ত্যাগ করতে পারে এবং মার্কিন সামরিক সুরক্ষা ছাড়া ইউরোপ দুর্বল বলে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর তাকে ‘উগ্র ও অবিবেচক’ বলে অভিহিত করেন লুইস। খবর গার্ডিয়ানের। ডিফেন্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান লুইস আশা প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প যা বলেছেন তা তিনি বোঝাতে চাননি এবং তার এই মন্তব্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করতে চাপ দেয়ায় কৌশল মাত্র। ওয়েস্টমিনস্টার শহরে সোমবার সন্ধ্যায় এক ভাষণে এই কনজারভেটিভ এমপি বলেন, ১৯৪৯ সালে ন্যাটো প্রতিষ্ঠার সময় যেমন সত্যি ছিল আজও এটি তেমনই সত্যি যে, কোন ন্যাটো দেশের ওপর হামলা হলে তা আমেরিকার ওপর হামলা বলে গণ্য হবে। ন্যাটোর মূলমন্ত্র হচ্ছে, জোটের এক দেশ আক্রান্ত হলে সেটি সবার ওপরই আক্রমণ বলে গন্য হবে এবং ন্যাটোভুক্ত কোন একটি দেশ আক্রান্ত হলে তার নিরাপত্তায় এগিয়ে আসবে অন্যান্য মিত্র। ট্রাম্প এক সাক্ষাতকারে ন্যাটোকে সেকেলে বলে ইউরোপীয় রাজধানীগুলোতে উদ্বেগ সৃষ্টির পর লুইস এ বিষয়ে কথা বলেন। ট্রাম্পের সাক্ষাতকারটি ব্রিটিশ পত্রিকা টাইমসে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, অনেক আগেই বলেছি, ন্যাটোর সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, এটি সেকেলে। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সুরক্ষা সত্ত্বেও অনেক ন্যাটো সদস্যই তাদের ভাগের অর্থ পরিশোধ করে না। এর আগে গত গ্রীষ্মে বলেছিলেন, ন্যাটোর যৌথ মতবাদকে তিনি বাধ্যতামূলক মনে করেন না যে, এক দেশের ওপর হামলা হলে জোটের ২৮ দেশই ওই হামলাকে নিজ দেশের ওপর বলে মনে করবে। লুইস এই প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কেন ট্রাম্প এমন উগ্র ও বেপরোয়া পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করছে। কারণ ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা, বিশেষ করে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছিল, তারা তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় করছে না। যেমনটি করছে আমাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বৈরী দেশ রাশিয়া। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলো শুধু রাশিয়ার প্রচলিত বাহিনীর হামলাই নয়, তাদের পরমাণু ব্ল্যাকমেইলও পরাস্ত করতে পারবে।
×