ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল মালেক

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশন- ট্রানজিশন থেকে ইনাগুরেশন

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশন- ট্রানজিশন থেকে ইনাগুরেশন

২০ জানুয়ারি বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রযন্ত্রের গণতান্ত্রিক সিংহাসন থেকে আমেরিকান ইতিহাসের এক কৃষ্ণ নায়কের বিদায়। তিনি এদিন ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের জাঁকজমকপূর্ণ লোকারণ্যে দেশ শাসনের ভার দিতে যাচ্ছেন নতুন রাষ্ট্রপতি রিয়ালিটি টিভি স্টার ও রিয়াল স্টেট মোগল প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের হাতে। হোয়াইট হাউসের স্বপ্নপুরি থেকে ৮ বছর পরে সপরিবারে বেরিয়ে আসবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বারাক হুসেইন ওবামা এবং সেখানে অভিষিক্ত হবেন নবীন ৪৫তম রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রপতি বারাক ওমাবা শিকাগোতে দেয়া বিদায় ভাষণে বলেছেন, পূর্বসূরি জর্জ বুশ যেভাবে মসৃণ পদ্ধতিতে তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন তিনিও তাঁর উত্তরসূরির কাছে তেমনিভাবে সমর্পণ করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনভার। ঐতিহ্যগতভাবে দুই প্রেসিডেন্ট একটি গাড়িতে করে ইনাগুরেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। ১৭৯৭ সালের ৪ মার্চ জন এ্যাডামস আমেরিকার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে পরবর্তী ইলেক্ট প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য ৪ মার্চ তারিখে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে অনুষ্ঠিত ১৯৫২ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইজেনহাওয়ার বিজয়ী হলে তিনি শপথ গ্রহণ করেন ১৯৫৩ সালের ২০ জানুয়ারি। এরপর থেকেই ২০ জানুয়ারিকে নির্ধারণ করা হয় নবীন রাষ্ট্রপতির শপথের দিন হিসেবে। বলা বাহুল্য, এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি আচমকা একদিনে আসে না- এর জন্য থাকে সুদীর্ঘ প্রস্তুতি। গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের এপ্রিল মাসে যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরম লগ্নটি দিল্লী দূর অস্তের মতো। এমনকি ২০১৬ সালের দলীয় মনোনয়ন কনভেনশনেরও ঢের বাকি। ভোটের মঞ্চ জুড়ে তখন শুধু চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী মনোনয়ন লড়াইয়ের হুঙ্কার। এমন এক সময় পাদপ্রদীপের আড়ালে অনুষ্ঠিত হলো একটি নিভৃত বৈঠক। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেড ক্রুজ, জন ক্যাসিক, ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন ও বার্নি স্যান্ডারসের ক্যাম্পেন কর্মকর্তারা একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের গুড গভর্নেস এক্সপার্ট হিসেবে খ্যাত বাঘা বাঘা একদল কর্মকর্তার সঙ্গে এক বৈঠকে বসলেন। সকল প্রার্থীর পক্ষ থেকে কমন গোলে পৌঁছানোর নিমিত্তে এক্সপার্ট ও প্রতিনিধি বর্গ একটি লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করেছিলেন এই সভায়। মজার কথাÑ সেই কক্ষে আলোচনার টপিকটি কিন্তু একেবারেই ক্যাম্পেন সংক্রান্ত ছিল না। এই বৈঠকের একমাত্র আলোচ্যসূচী ছিল প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশন। ৮ নবেম্বরের নির্বাচনের রাত থেকে শপথ গ্রহণের মধ্যবর্তী ৭২ দিনের কর্মকা-ের দিকনির্দেশনা। ভোটারদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না থাকলেও মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হচ্ছে ট্রানজিশন। কারণ, ইলেক্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল জানার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতায় আসীন হতে পারেন না। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তরের এই সময়কে আমেরিকান গণতন্ত্রের জন্য একটি অরক্ষিত সময় হিসেবে গণ্য করা হয়। যারা মার্কিন রাজনীতির খোঁজ খবর রাখেন তারা জানেন ক্ষমতার রদবদলের সঙ্গে সেদেশে আমূল বদল ঘটে প্রশাসনের। বাংলাদেশে আমরা যেমন দেখি প্রশাসনের বিভিন্ন পদে যারা কাজ করেন তারা প্রায় সকলেই স্থায়ী চাকরির মানুষ। কিন্তু মার্কিন দেশে দলীয় সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর খোলনলচে অবধি বদলে যায়। প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট হিসেবে নির্বাচিত হবার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি চার হাজারের বেশি দলীয় কিংবা নিজ পছন্দের লোকদের উপযুক্ত পদে নিয়োগ দেন। এইরকম ১১০০ পদে সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে আমেরিকার ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র ৯ জনকে সিনেট কর্তৃক কনফারমেশন দেয়া হয়নি। এই সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, পাবলিক হেলথ ও ইকোনমির মতো ফেডারেল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্সিগুলোতে পদ শূন্য হয় এবং সেখানে নতুন ব্যক্তিবর্গ যোগদান করেন। বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে সমন্বয় সাধনের এই কাজটি তখন একাধারে যেমন জটিল তেমনি সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া ট্রানজিশনকালীন প্রাকৃতিক বা অন্য কোন দুর্যোগ ঘটলে তার মোকাবেলার প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য সকল টিমকে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়। এগুলো নিয়ে ট্রানজিশন প্রতিনিধিদের টেবিল টক এক্সারসাইজ করতে হয়। এসবের গুরুত্ব সম্পর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ট্রানজিশন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জনসন থার্ড বলেন, ‘অনুমান করা যায় কি ৯/১১ এর ঘটনাটি যদি ২/১১ অথবা ১/২১/১১ এ ঘটতো? তাহলেও নতুন প্রেসিডেন্টের লোকজন ট্রানজিশনকালীন অভিজ্ঞতা নিয়ে মহাদুর্যোগটি মোকাবেলা করতে পারতেন।’ ইতোপূর্বে ২০০৮ সালে বারাক ওবামার ট্রানজিশনকালীন সময়ে মার্কিন অর্থনীতিতে যে সুবিশাল ধস নেমেছিল সেটি প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ওবামার ট্রানজিশন টিম এবং ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বুশের কর্মকর্তারা মিলিত দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন সেই কাজটি ঐতিহাসিক। শাসনতন্ত্র অনুসারে ২০ জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর নতুন প্রেসিডেন্টকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রারম্ভে যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল সরকারের বরাদ্দকৃত বাজেট পাস করার জন্য কংগ্রেসকে অনুরোধ জানাতে হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অথবা অনুরূপ কোন গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দিতে হয়। সেই ভাষণে নয়া প্রশাসন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তার দিক-নির্দেশনাও থাকে। কিন্তু নির্বাচনের পর মাত্র বাহাত্তর দিনের মধ্যে এই কাজ অসম্ভব। ক্ষমতাসীন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও গুড গভর্নেস এক্সপার্টরা উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে দায়িত্বভার নেয়ার বহু আগে থেকেই নির্বাচনী বছরের এপ্রিল মাসের এমন বৈঠকে প্রার্থীদের তাগাদা দেন- যাতে দল এমন যোগ্যতম ব্যক্তিদের খুঁজে বের করেন যারা নিকট ভবিষ্যতে দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন চালাতে সক্ষম হবেন। ট্রানজিশনের মূল কাজটি সম্পর্কে এককথায় বলতে হবে প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোকে বাস্তব নীতিতে পরিণত করা। ট্রানজিশন ব্যাপারটি মার্কিন দেশে রাষ্ট্র শাসনের শুরু থেকে কোন না কোনভাবে আজ পর্যন্ত চলে এসেছে। আমেরিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্দলীয় জর্জ ওয়াশিংটনের পর ১৭৯৬ সালে ফেডারেলিস্ট জন এ্যাডামসের সময় থেকে শুরু“হয় এই ক্ষমতা হস্তান্তরের পালাটি। পরবর্তীতে ‘প্রেসিডেনশিয়াল এ্যাক্ট ১৯৬৩’ হিসেবে এটি আইনে পরিণত হয়। সেই সময় থেকে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে এ্যাডহক বেসরকারী ফান্ডের মাধ্যমে। অতঃপর এক দীর্ঘ সময় পেরিয়ে ২০১০ সালে আমেরিকার ফেডারেল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমকে সহায়তা দেয়। ’১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান এই দুই দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন যখন প্রায় নিশ্চিত তখন সরকারের জেনারেল সার্ভিসেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ) সঙ্গে হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা একটি মেমোরান্ডাম অব আন্ডার স্ট্যান্ডিংয়ে স্বাক্ষর করেন। জিএসএ উভয় প্রার্থীকে ১ আগস্ট থেকে ১২৪ জন কর্মীর বসার স্থান সংকুলান করে ১৬,০০০ স্কয়ার ফিট আয়তনের একটি অফিস দেয়। সেই সঙ্গে দেয়া হয় অফিস সাজানোর জন্য আসবাবপত্র, টেকনোলজি, আইটি সাপোর্ট, নিরাপত্তা কর্মীসহ অন্যান্য সুবিধাদী। এই সমস্ত ব্যয় বাবদ জিএসএ ১৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ পেয়েছিল। জিএসএ’র সঙ্গে চুক্তি অনুসারে প্রেসিডেনশিয়াল ট্রানজিশন স্টাফদের বেতনের জন্য ফান্ড রেইজ করার বিধান রাখা হয়েছে। বলা বাহুল্য, এই সংগৃহীত অর্থের জন্য কোন ট্যাক্স দিতে হয় না। তবে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে ৫,০০০ ডলারের বেশি চাঁদা নেয়া যাবে না। আর ‘১৬ সালে সংগৃহীত অর্থ ‘১৭ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিসক্লোজ করে দিতে হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসও ট্রানজিশনের জন্য ৭ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে ৬ মিলিয়ন প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের আর বাকি ১ মিলিয়ন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন ও যাতায়াতের কাজে ব্যয় করা হয়। বিজয়ী প্রেসিডেন্টের দল দু’সপ্তাহ পর্যন্ত এই অফিসে থাকার বিধান আছে কিন্তু পরাজিত প্রার্থীর দলকে যত দ্রুত সম্ভব পাততাড়ি গোটাতে হবে। ২০১৬ সালের ট্রানজিশনের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তদানীন্তন ট্রানজিশন প্রধান নিউ জার্সির গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টি ডোনারদের জানান, তারা ২ মিলিয়ন ডলারের স্বল্প বাজেট ট্রানজিশন কাজে ব্যয় করতে চান। উল্লেখ্য, নির্বাচনের পর ট্রাম্প ক্রিস্টিকে বাদ দিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট মাইক পেন্সকে নয়া ট্রানজিশন প্রধান করেন। ২০১২ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি তার ট্রানজিশনের জন্য ৪ মিলিয়ন ডলার ফান্ড রেইজ করে ৪০০ কর্মকর্তা নিয়োগ দেন। রমনি প্রশাসনের ২শ’ দিনের মধ্যে কি কি কাজ করতে হবে তার একটি খসড়াও প্রণয়ন করেন। এ বিষয়ে পলিসি গ্রুপের মাধ্যমে তারা ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করেন। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৮ সালের নির্বাচনী দিনের অপরাহ্ণে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজান রাইস নির্বাচনী ফলাফলের পর বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ফোন কলের জবাব দেবার পদ্ধতি সম্পর্কে ওবামার ট্রানজিশন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্রিস লুকে ইমেইল করেন। সেখানে তিনি লেখেন তারা যেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কল সেন্টারের মাধ্যমে জবাব দেন। কারণ, এই ডিপার্টমেন্ট তুলনামূলকভাবে পলিটিক্যাল, প্রফেশনাল অনুবাদ কর্মে দক্ষতাপূর্ণ ও নোট নিতে সক্ষম। পরদিন সকালেই পরামর্শ মোতাবেক ওবামার ট্রানজিশন কাজ করতে শুরু করে। উল্লেখ্য, সে বছর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমক্র্যাট বারাক ওবামা এবং রিপাবলিকান জন ম্যাককেইন নির্বাচনের বহু আগে থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রানজিশনের কাজ শুরু করেছিলেন। আমেরিকান ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষমতা হস্তান্তর কর্মকা- ঘটেছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে। মাত্র গুটিকয়েক বিদায়ী ও নয়া প্রেসিডেন্টের বৈরী সম্পর্কের কারণে ঘটেছিল শুধু ব্যতিক্রম। এমনও দেখা গেছে যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নবীন রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হননি। এবারে ৬৩টি সংস্থা নবীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। তারপরেও আশা করা যায় ওবামা-ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তরের পালাটি হতে যাচ্ছে আনন্দময়। লেখক : আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক [email protected]
×