ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্মুখযুদ্ধে নিহত হয়েও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি নবীর উদ্দিন

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

সম্মুখযুদ্ধে নিহত হয়েও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি নবীর উদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করছেন। পাশাপাশি এক ছেলে ও দুই মেয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে বেঁচে রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের লড়াকু সৈনিক শহীদ নবীর উদ্দিন একাত্তরে ইপিআর সদস্য হিসেবে এখানে চাকরি করতেন। চাঁপাইয়ে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হলেও সার্টিফিকেটে মৃত উল্লেখ করায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি তার পরিবার। ৪৫ বছর ধরে দৌড়ঝাঁপ করে ক্লান্ত হয়ে পুরো পরিবার এখন নির্বাক অথচ চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুর ব্রিজের কাছে হাইরোডের ধারে শহীদ নবীর উদ্দিনের কবর রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিন। কবরটি দেখভাল ও তত্ত্বাবধান করে স্থানীয় বিজিবি ব্যাটালিয়ন। নবীর উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম অশ্রুসিক্ত নয়নে জনকণ্ঠকে জানান, নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ৫নং কোলা ইউনিয়নে তাদের বাড়ি। ঝড়ঘরিয়া গ্রামের নবীর উদ্দিন চাকুরীর সুবাদে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১৩ ডিসেম্বর সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। পরে তার শহীদ স্বামীকে চাঁপাই শহরের উপকণ্ঠে হরিপুর ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে সমাহিত করা হয়। সেই সময়ে ছেলে নুরুল ইসলাম ও দুই মেয়ে মরিয়ম ও শিউলি খুব ছোট থাকায় অসহায় শহীদ পরিবার হিসেবে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারেননি। পরবর্তীতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যোগাড়ে। ফলে গত ৪৫ বছরেও কোন সরকারী সুযোগ-সুবিধা পায়নি এই শহীদ পরিবারটি। বিষয়টি বাদলগাছী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নোটিসে এলে তিনি সব কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে ৬ বছর আগে অর্থাৎ ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পেয়েছেন। নদী ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন করেছে নদের পারের সহস্রাধিক মানুষ। সোমবার দুপুরে রৌমারী উপজেলার বলদমারা খেয়াঘাট এলাকায় দুই কিলো মিটার জুড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হাজী মুরাদ লতিফ, রৌমারী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল হক মণ্ডল প্রমুখ। শিক্ষাবৃত্তি নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৬ জানুয়ারি ॥ সোমবার মহাদেবপুরে সমাজ সেবা অধিদফতরের উদ্যোগে অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও কম্বল বিতরণ করা হয়। স্থানীয় রাবেয়া পল্লীতে অবস্থিত অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৩১ ছাত্রছাত্রীকে ১ লাখ ১১ হাজার টাকার চেক ও কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার। এ উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মহাতাসিম বিল্লাহ্, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা খাতুন, রাবেয়া পল্লীর স্বত্বাধিকারী ও অটিস্টিক ও বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের পরিচালক ওবায়দুল হক বাচ্চু প্রমুখ।
×