ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ॥ পুলিশের আলটিমেটাম

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ॥ পুলিশের আলটিমেটাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৬ জানুয়ারি ॥ রাজৈর উপজেলার দক্ষিণ খালিয়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে দু‘দিন ধরে প্রেমিক অনুপ ম-লের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন প্রেমিকা মিতালী বাড়ৈ। এ অবস্থায় বাড়িঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে প্রেমিকের পরিবার। অন্যদিকে পলাতক প্রেমিক অনুপ ম-লকে সাত দিনের মধ্যে হাজির করার আল্টিমেটাম দিয়েছে রাজৈর থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের লাউসার গ্রামের নরেশ বাড়ৈর মেয়ে চৌয়ারীবাড়ির ‘ভেন্নাবাড়ী মতিলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মিতালী বাড়ৈর সঙ্গে একই উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ খালিয়া গ্রামের অরুণ ম-লের ছেলে অনুপ ম-লের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গভীর সম্পর্কের কারণে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মিতালীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে গিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রেমিক অনুপ। এক পর্যায়ে প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিক অনুপ ম-লকে। অনুপ মিতালীর প্রেম অস্বীকার করে বিয়েতে অসম্মতি জানায়। উপায় না দেখে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা মিতালী বাড়ৈ শনিবার থেকে অনুপ ম-লের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। একদিন পর রাজৈর থানার পুলিশ মিতালীকে উদ্ধার করে। প্রতারণার শিকার প্রেমিকা মিতালী বাড়ৈ বলেন, ‘অনুপের বাড়িতে অবস্থান করার সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ির লোকজন আমার উপর নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। অনুপের সঙ্গে আমার বিয়ে হবে, নতুবা আমি না খেয়ে এই বাড়িতেই মরে যাব’। রাজৈর থানার এএসআই সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিতালীকে উদ্ধার করি এবং ছেলের মামা কমলেশ বিশ্বাস ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পলাতক প্রেমিক অনুপকে সাত দিনের মধ্যে হাজির করার আল্টিমেটাম দিয়েছি’। রাজশাহীতে কবুতর নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৭ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মহানগরীতে পোষা কবুতর নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর পঞ্চবটি খরবোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা হলেনÑ খরবোনা এলাকার দুলালের ছেলে রায়হান, হালিমের ছেলে মারুফ, হিমেলের স্ত্রী নার্গিস, জাফর আলীর ছেলে হারুন, জাহিদুলের স্ত্রী সালমা, মধুর স্ত্রী শিউলী। অপর পক্ষের আহত হয়েছেন নফল ম-লের ছেলে ইয়ামিন। আহতদের মধ্যে হারুন, ইয়ামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ইয়ামিনের পোষা কবুতর হঠাৎ করেই কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী সিমলাদের বাড়িতে চলে যায়। ওই সময় সিমলা কবুতরটি ধরে আটকিয়ে রাখে। ইয়ামিন বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকালে লোকজন নিয়ে সিমলাদের বাড়ি যায় কবুতরটি নেয়ার জন্য। এ নিয়ে সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিত-া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উভয়পক্ষই লাঠি-সোঠা, দা ও হাঁসুয়া নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
×