ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সফটওয়্যারের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মোবাইল নাম্বার কপি করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (ইউপি চেয়ারম্যান) ফোন করে এক সচিবকে জড়িয়ে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। সারাদেশেই এদের নেটওয়ার্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ওই চক্রটি জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একই পন্থায় বরিশালের হিজলা উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল নামের ওই প্রতারককে আটক করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, গত ১ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতারকচক্রটি বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, বানারীপাড়া, আগৈলঝাড়া ও হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মোবাইল নম্বর কপি করে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ফোন করে এক সচিবকে (তদন্তের জন্য নাম প্রকাশ করা হয়নি) জড়িয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে প্রতারকরা। পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রতারকদের কথার ফাঁদে পরে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রেরণ করেন হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। পরবর্তীতে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান ১৪ জানুয়ারি হিজলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পরই তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের নিদেশনায় ডিবির এসআই তুষার কুমার ম-ল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে গাজীপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। জানা গেছে, ওইদিনই (১৪ জানুয়ারি) গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলকে আটক করা হয়। এ সময় অন্য প্রতারকরা পালিয়ে যায়। পরে আটক সাইদুলের কাছ থেকে প্রতারণার নগদ ৮৩ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটক সাইদুল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি থানার পলাশী গ্রামের মৃত মায়েদ ফকিরের ছেলে।
×