ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিসিএস শিক্ষা সমিতি

বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তি বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তি  বন্ধের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণহারে নামসর্বস্ব বেসরকারী কলেজ সরকারীকরণের প্রেক্ষাপটে বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া বেসরকারী শিক্ষকদের ক্যাডার সার্ভিসভুক্ত করার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। এছাড়া জাতীয়করণের আওতাভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষকবৃন্দের চাকরি বদলি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বিসিএস ক্যাডারভুক্ত সরকারী কলেজ শিক্ষকদের এ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে বলেছেন, নো বিসিএস, নো ক্যাডার। বিসিএস পরীক্ষা পাস না করে কারও বিসিএস ক্যাডার করা চলবে না। বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার পাঁয়তারা বন্ধ করে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন মহাসচিব মোঃ শাহেদুল খবির চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ খান মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রচার সচিব কামাল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মাসুদা বেগম প্রমুখ। সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বেসরকারী কলেজ জাতীয়করণে সরকারের সঙ্গে আমরা দ্বিমত নই, একমত পোষণ করি। তবে জাতীয়করণের ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকদের পৃথক নিয়োগ, পদায়ন, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, পরিচালনাসহ তাদের ক্যাডারবহির্ভূত করে চাকরির শর্ত নির্ধারণপূর্বক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরী। যেন সরকারী কর্মকমিশন কর্তৃক বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে যোগদান করা কর্মকর্তাদের স্বার্থ ও মর্যাদা কোনভাবেই ক্ষুণœ না হয়। তিনি আরও বলেন, গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন সময় কলেজ জাতীয়করণের সুযোগে বেসরকারী শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। শিক্ষানীতিতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও দীর্ঘ ৭ বছরেও সংশ্লিষ্ট কলেজ শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণীত হয়নি। জাতীয়করণের ক্ষেত্রে বেতনসহ সকল সুবিধা দেয়া হোক, কিন্তু কোনভাবেই ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। যদি তা হয়, তবে ১৫ হাজার ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকের মর্যাদাহানি হবে। সংগঠনের মহাসচিব মোঃ শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো ক্যাডারভুক্তির পাঁয়তারা চলছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। অন্যথায় ১৫ হাজার ক্যাডারভুক্ত শিক্ষককে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলারও হুঁশিয়ার দেন এ শিক্ষক নেতা। শাহেদুল খবির চৌধুরী আরও বলেন, আমরা মনে করি শিক্ষা ক্যাডারের সামনে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমানে চলমান বেসরকারী কলেজ জাতীয়করণের ফলে সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহের শিক্ষকগণের ক্যাডারভুক্তির আশঙ্কা। কেননা, অতীতে সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে এ ধরনের কলেজসমূহের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির ফলে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ চরম বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এই দাবি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি। এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত ॥ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের আশ্বাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকদের এ অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেয়া হয়।
×