ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মরিচে আয়ু বাড়ে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

মরিচে আয়ু বাড়ে

মসলাযুক্ত খাবার আমাদের সবার পছন্দ। কিন্তু আমাদের মধ্যে মসলাযুক্ত রুচিকর খাবার নিয়ে অনেক নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আর খাবারে যদি মরিচ যুক্ত হয় তাহলে তো কথাই নেই। বেশি মরিচ খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ। মরিচ খেলে পেটে ব্যথা হয়। গ্যাস্ট্রাইটিস হয়- কত কী কথা। তবে আপনি মরিচ খেতে পছন্দ করলে এবার খুশি হতে পারেন। কারণ নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সুস্থ থাকতে মরিচ খাওয়া উচিত এবং এতে আয়ু বাড়ে। গবেষকদের মতে, খাবারে নিয়মিত মরিচ থাকলে তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হার্টের অসুখ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের গবেষকরা জানান, ঝাঁঝালো মরিচের উপাদান ক্যাপসিসিন- ট্রান্সিয়েন্ট রিসেপটর পোটেনশিয়াল (টিআরপি) চ্যানেল শোষিত হয়। শরীরের কোষ ও আণবিক কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন ধরে রাখা এবং রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ক্যাপসিসিন। এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ থাকার কারণে ইনফেকশন রুখতেও সাহায্য করে মরিচ। বহু দিন ধরেই মরিচ ও মসলা বিভিন্ন অসুখে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভারমন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ২৩ বছর ধরে ১৬ হাজার মার্কিনীর খাবার খাওয়ার অভ্যাসের ওপর গবেষণা চালান। এই সময়ের মধ্যে গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ৪ হাজার ৯৪৬ জন মারা যান। দেখা গেছে, মোট মৃতের মধ্যে যারা লাল মরিচ খেয়েছেন তাদের হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর যারা মরিচ খাননি তাদের হার ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এই অর্থে পার্থক্য দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। তবে চিকিৎসকরা লাইফস্টাইল ও ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্যের কারণে এই পার্থক্য নির্ধারণ করেন ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে, জার্নাল অব বায়োকেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, উপমহাদেশে উৎপাদিত মরিচে এমনই এক উপাদান থাকে যা শরীরে বিশেষ এক এনজাইম উৎপাদনে বাধা দেয়। অধিকাংশ ক্ষতিকর টিউমারে বিপুল পরিমাণে এই এনজাইমের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। -ডেইলি মেইল
×