ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জীবন’

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জীবন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৃষ্টি এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জীবন’।চলচ্চিত্রটির কাহিনী, সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন জুয়েল হাসান। এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশির আহমেদ ও রিতু রহমান। চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে পরিচালক জুয়েল হাসান বলেন। ছোট্ট এই জীবনে বড়াই করার কিছুই নেই। আজকে আছি তো কালকে নেই। জীবন মত্যুর দিনক্ষণ কোন মানুষই আগে থেকে জানে না। তাই এই ছোট্ট জীবনে কেন মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়া? কেন মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতে পারি না? এই জীবনে যতটুকু পারব অন্যের বিপদে এগিয়ে আসতে যেন পারি। অন্যের বিপদে যেন হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্র্ঘ্য চলচ্চিত্র জীবন। চলচ্চিত্রটি গতকাল সোমবার ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে।‘জীবন’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প আমাদের সমাজে অহরহ দেখা যায়। একজন মানুষ যখন বিপদে পড়ে, তখন তার কাছের মানুষগুলো পর হয়ে যায়। একে একে সবাই তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু কেন? শিশির নামের ছেলেটির দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। চার বছর প্রেমের সম্পর্কের পর নিতু নামের মেয়ের সঙ্গে দুই বছরের সংসার। কিন্তু তিনি সেটি করলেন না। স্বামীকে মৃত্যুর মুখে রেখে চলে আসে বাবার বাড়িতে। এমনকি বাবার বাড়িতে আসার পরে ডিভোর্স লেটার পাঠায় শিশিরের কাছে। আর তার বাবা-মা আবার নিতুর বিয়ে ঠিক করে। অন্যদিকে শিশির ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। নিতু একটি কিডনি দিয়ে সে দুর্বল হয়ে বাঁচতে রাজি নয় তাই শিশিরকে ফেলে রেখে চলে আসে। শিশির তার স্ত্রীর কাছ থেকে এতটুকু সহানুভূতি না পেয়েও মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসছে ভেবে তার ভালবাসার মানুষটিকে শেষ বারের মতো একবার দেখার জন্য একদিন রাস্তার মাঝে নিতুর পথ আগলে দাঁড়ায়। এভাবে এগিয়ে চলে ‘জীবন’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনী।
×