ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এমপি লিটন হত্যা

ঢাকা থেকে গ্রেফতার ২ শিবির ক্যাডারের দু’দিনের রিমান্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

ঢাকা থেকে গ্রেফতার ২ শিবির ক্যাডারের দু’দিনের রিমান্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৫ জানুয়ারি ॥ সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ১৬ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকেও কোন আশার বাণী পাওয়া যায়নি। এতে সুন্দরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার গাইবান্ধা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (সুন্দরগঞ্জ) মইনুল হাসান ইউসুফ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির হাজী ইউনূস আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম আর জহুরুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হাজী ফরিদের ছেলে। তাদের বাড়ি সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার রামভদ্র গ্রামে। মোস্ট ওয়ানটেড আশরাফুল ইসলাম ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাভারের আশুলিয়া ক্যাম্পাসে বিবিএতে পড়াশোনা করত। তার সহযোগী জহুরুল ইসলামও ঢাকায় অবস্থান করত। জানা গেছে, এমপি লিটন হত্যাকা-ের আগে জহুরুল ও আশরাফুলকে সুন্দরগঞ্জে একটি কালো পালসার মোটরসাইকেলে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। হত্যার পর রাতেই তারা গা ঢাকা দেয়। এমপি লিটন হত্যাকা-ে খুনীরা যে দুটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে, সে দুটিও ছিল কালো রংয়ের পালসার মোটরসাইকেল। এসব সূত্র ধরেই পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্য সংস্থাগুলো হন্যে হয়ে তাদের খুঁজছিল। অতঃপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা তাদের দুজনকে ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত নয়জন গ্রেফতার ॥ এমপি লিটনের হত্যাকা-ের পর পুলিশ সন্দেহভাজন ৭২ জনকে আটক করে। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নয়জনকে লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরা হলো জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাজী ফরিদ উদ্দিন, হযরত আলী, আহসান হাবীব মাসুদ, সামিউল হক, হাসিদুর রহমান, জিয়াউল হক, নবীনুর খন্দকার, আশরাফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলাম। আটককৃত বাকি ৬৩ জনকে সুন্দরগঞ্জে সংঘটিত নাশকতা ও পুলিশ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে। এমপি লিটন হত্যা মামলা কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে এখন গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কারণে হাটবাজার ও বন্দরে লোকজনের আনাগোনা কমে গেছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনাও উল্লেখ্যযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
×