ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসের কবল থেকে মসুল ইউনিভার্সিটি পুনরুদ্ধার

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

আইএসের কবল থেকে মসুল ইউনিভার্সিটি পুনরুদ্ধার

বিডিনিউজ ॥ ইরাকের মসুলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে লড়াইরত ইরাকী বাহিনী মসুল বিশ্ববিদ্যালয় পুনরুদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। শুক্রবার ইরাকী বাহিনীর এলিট ইউনিটের সেনারা বিশ্ববিদ্যায়লটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। ইরাকী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণাগারগুলো রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করত জঙ্গীরা। খবর বিবিসির। ইরাকে আইএসের সর্বশেষ বড় ঘাঁটি মসুল। শহরটি পুনরুদ্ধারে অক্টোবর থেকে অভিযান শুরু করে ইরাকী সামরিক বাহিনী। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া দজলা নদীতে বিভক্ত শহরটির পূর্বাংশের প্রায় পুরোটা ইতোমধ্যে পুনরুদ্ধার করেছে ইরাকী বাহিনী, কিন্তু নদীর অপর পাড়ের পশ্চিমাংশ এখনও জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে। ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রধান লে. জে. তালিব শাঘাতি মসুল বিশ্ববিদ্যালয় পুনরুদ্ধারকে একটি উল্লেখযোগ্য বিজয় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের বীর সৈনিকরা এই বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক ভবনটি মুক্ত করেছে। মসুল বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত করা সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানবসম্পদগত বিবেচনায় অনেক কিছু। পূর্ব মসুলের অধিকাংশ এলাকা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন ইরাকের সামরিক কর্মকর্তারা। লিবিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে নিখোঁজ প্রায় ১০০ বিডিনিউজ ॥ ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে ইউরোপ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে ইতালীয় কোস্টগার্ড তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে।Ñ বিবিসি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাগর থেকে আটটি মৃতদেহ ও চারজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ইতালীয় কোস্টগার্ড। কিন্তু শনিবার রাতের অন্ধকার নামার পর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অভিযান অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, তখনও বহু মানুষ নিখোঁজ ছিলেন। লিবীয় উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইতালি ও লিবীয় জলসীমার মধ্যবর্তী এলাকায় নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটিতে কোন কোন দেশের নাগরিকরা ছিলেন তা পরিষ্কার নয়। উদ্ধারকাজে ইতালীয় কোস্টগার্ডের পাশাপাশি ফরাসী নৌবাহিনীর একটি জাহাজ, দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ও বিমানও অংশগ্রহণ করছে। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে স্থলপথে ইউরোপ অভিমুখী অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বিপদসঙ্কুল হওয়া সত্ত্বেও সাগরপথ এখনও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
×