ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিমানের নিরাপত্তায় নিউইয়র্কে ৭০ হাজার পাখি নিধন

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

বিমানের নিরাপত্তায় নিউইয়র্কে ৭০ হাজার পাখি নিধন

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৯ সালে একটি যাত্রীবাহী বিমানের ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে পড়ে। এতে বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ওই দুর্ঘটনার পর নিউইয়র্ক সিটি এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৭০ হাজার পাখি গুলি করে ও ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয়েছে। তবে এত পাখি হত্যা করে আকাশকে নিরাপদ করা গেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। আট বছর আগে পাইলট চেসলি সালি সালেনবার্গার পাখির কারণে হাডসন নদীতে বিমান অবতরণ করান। এই দুর্ঘটনার ওপর ভিত্তি করে টম হ্যাঙ্কস অভিনীত ও ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালিত সিনেমা ‘সালি’ গত বছর বক্স অফিস হিট করে। বার্তা সংস্থা এপির এক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হাডসনে তথাকথিত অলৌকিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লাগার্ডিয়া ও নিউইয়ার্ক বিমানবন্দরে পাখি হত্যা কর্মসূচী গ্রহণ করার পর গত বছরগুলোতে ওই দুই বিমানবন্দরে পাখির সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষের ঘটনা আসলে বেড়ে গেছে। বিমান দুর্ঘটনার আগে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিবছর এ দুই বিমানবন্দরে গড়ে ১৫৮টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর দুর্ঘটনার পর ছয় বছরের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে ২৯৯টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাহলে পাখিরা কি বিমানের শত্রুতে পরিণত হয়েছে? ফ্লাইট ১৫৪৯ দুর্ঘটনার আগে পরীযায়ী পাখিদের প্রধান পথ কেনেডি বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছিল পাখি হত্যার মহাকর্মসূচী। কিন্তু পাখি হত্যার পরিমাণ কিছুটা কমানো মাত্রই পাখির সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে যায়। বন্যপ্রাণীদের নিয়ে কাজ করা গ্রুপ গুস ওয়াচ এনওয়াইসির কর্মী জেফরি ক্র্যামার বলেন, ‘একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে পৌঁছতে হবে, যা ব্যাপকভাবে পাখি নিধনের ওপর ভিত্তি করে হবে না।’ তিনি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন পাখির ঝাঁক শনাক্ত করতে আরও ভাল রাডার ব্যবস্থার সুপারিশ করেন। Ñগার্ডিয়ান
×