ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক ভিয়েত কং সদস্যের সঙ্গে উষ্ণ করমর্দন

ভিয়েতনাম যুদ্ধের স্মৃতিবাহী স্থান পরিদর্শন জন কেরির

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

ভিয়েতনাম যুদ্ধের স্মৃতিবাহী স্থান পরিদর্শন জন কেরির

বিডিনিউজ ॥ ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালে দেশটির মেকং নদী অববাহিকার যে জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলার মধ্যে পড়েছিলেন সেই ‘বিশেষ’ জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট কেরি ৭০ বছর বয়সী এক সাবেক ভিয়েত কং সদসেদ্যের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন, যিনি ১৯৬৯ সালের ওই ঘটনাটির কথা স্মরণ রেখেছেন। সাক্ষাত পর্বে এই দুই সাবেক শত্রু উষ্ণভাবে করমর্দন করেছেন। খবর বিবিসির। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মেয়াদ শেষের আগে শেষবারের মতো বিদেশ সফর করছেন কেরি। সফরের এই পর্বে তিনি এখন ভিয়েতনামে আছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়া কেরি সাহসিকতার জন্য পদক পেয়েছিলেন, কিন্তু যুদ্ধ থেকে দেশে ফিরে তিনি যুদ্ধবিরোধীতে পরিণত হয়েছিলেন। কেরি তার সাবেক শত্রু ভো বান তামকে জানান, তারা দুজনেই বেঁচে আছেন এতে তিনি আনন্দিত। বর্তমানে চিংড়ি চাষীতে পরিণত হওয়া সাবেক গেরিলা তাম জানান, গুলি করে কেরি যে ভিয়েত কং গেরিলাকে হত্যা করেছিলেন তাকে তিনি জানতেন। মেকং নদীতে যুক্তরাষ্ট্রের টহল বোটটি দেখার পর তারা মিলে হামলার যে ছক কষেছিলেন তাও স্মরণ করেন তাম। ভিয়েত কং গেরিলাদের ওই ইউনিটটির কাছে একটি রকেট লঞ্চার ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বোটটিকে রকেট লঞ্চারের আওতায় আনতে বোটটি লক্ষ্য করে গুলি করেন গেরিলারা। এ সময় কেরি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তীরে নেমে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন এবং গুলি করে ওই রকেট লঞ্চার অপারেটরকে হত্যা করেন। কেরির বয়স তখন ২৬। নিজের সহকর্মীদের রক্ষায় সাহসিকতার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর ‘সিলভার স্টার’ পদকে ভূষিত করা হয়। কেরির গুলিতে নিহত ওই ভিয়েত কং গেরিলার নাম বা থানহ বলে জানিয়েছেন তাম। মৃত্যুর সময় থানহের বয়স ২৪ বছর ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। দোষাভীর মাধ্যমে কেরিকে তিনি বলেন, থানহ একজন ভাল সৈন্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় যাকে হত্যা করেছেন সেই থানহর নাম বা বয়স কেরির জানা ছিল না। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতাকালে ডেমোক্র্যাট কেরি দাবি করেছিলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি একজন কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। এই স্বীকারোক্তির কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কেরি। নির্বাচনেও জয়ী হতে পারেননি। কেরি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে অপার্থিব ও কিছুটা পরাবাস্তবাদী অনুভূতিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
×