ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে অনড় সিসিসি মেয়র

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে অনড় সিসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ নতুন পদ্ধতিতে হোল্ডিংট্যাক্স আদায়ে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (সিসিসি) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়েছেন, বিত্তবান ও সক্ষম নাগরিকদের সরকার নির্ধারিত হারে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। তবে নিঃস্ব ও হতদরিদ্র এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ থাকবে। এছাড়া অস্বচ্ছলদের ওপর কোনরূপ অবিচার করা হবে না। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে আগের নিয়মে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের দাবির প্রেক্ষাপটে মেয়র আবারও কর্পোরেশনের অটল সিদ্ধান্তের কথা জানালেন। গত শুক্রবার এবং শনিবার মেয়র যে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছে সে সব অনুষ্ঠানে এ সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করছেন। এছাড়া সাংবাদিকদের কাছেও তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। মেয়রের বক্তব্য অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে জিরো টলারেন্স থাকবে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটিতে ১৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ, ঢাকা মহানগরীতে এ হার ১৪ শতাংশ। গৃহমালিকদের সমস্ত আবেদন নিবেদন উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৭ শতাংশ হারে অনড় থাকার প্রেক্ষাপটে হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী রয়েছে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের। উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রচারণার সময় আ জ ম নাছির উদ্দিন নির্বাচিত হলে কর না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের। কর্পোরেশন শুধু আদায়ের মাধ্যম। এই বিষয়টি তুলে ধরে তিন বলছেন, সরকারই যে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে তা তিনি আদায়ে সচেষ্ট রয়েছেন। চট্টগ্রামে আবাসিক গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন শুরু ১ ফেব্রুয়ারি স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ গ্যাসের ব্যবহার অপচয়রোধে কর্ণফুলী গ্যাস ও জাপানী একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে ১০ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি পেট্রোবাংলার সদর দফতরে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (কেজিডিসিএল) সূত্রে জানানো হয়েছে, এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সরকার, কেজিডিসিএলের যৌথ অর্থায়নে আগামী ২০১৮ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কেজিডিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লক্ষাধিক। তার মধ্যে আবাসিক প্রায় ৬ লাখ। প্রাথমিকভাবে ১০টি এলাকাকে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করা হবে এবং ভবিষ্যতে প্রিপেইড ছাড়া আবাসিক এলাকায় কোন ধরনের গ্যাস সংযোগ থাকবে না।
×