ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা-যশোর কলকাতা রুটে শীঘ্রই চালু হচ্ছে মৈত্রী এক্সপ্রেস-২

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

খুলনা-যশোর কলকাতা রুটে শীঘ্রই চালু হচ্ছে মৈত্রী এক্সপ্রেস-২

সাজেদ রহমান, যশোর/ আবুল হোসেন, বেনাপোল ॥ খুব শীঘ্রই খুলনা থেকে যশোর হয়ে কলকাতা রুটে চালু হতে যাচ্ছে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস-২’। রেল চলাচল নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে যাবতীয় কাজ প্রায় শেষ। সম্পন্ন হওয়ার পথে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও পুলিশ ব্যারাক তৈরি। তবে ‘যতটুকু দেরি তা রেলের সিøপার বসানোতে’ বলে জানালেন বাংলাদেশ রেলওয়ের যশোর জোনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বীরবল ম-ল। তিনি বলেন, বিভিন্ন রেলস্টেশন থেকে এই সিøপার সংগ্রহ করে বসানো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে কাজে বিঘœ না ঘটলে এ মাসের শেষেই মৈত্রী এক্সপ্রেস-২ চালু হওয়ার যাবতীয় পরিবেশ ও সুবিধা পাবে। মৈত্রী এক্সপ্রেস-২ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে খুলনা-বেনাপোল-শিয়ালদাহ-কলকাতা রুটে। এই রেলের নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোর জোনের আওতায় ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও পুলিশ ব্যারাক তৈরিসহ যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৭ কিমি পথের মধ্যে ৮ দশমিক ৮ কিমি রেলপাটি ও সিøপার বসানোর কাজ চলছে। রেলওয়ে যশোর জোন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৭৮টি স্টিলের সিøপার বসানো হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন থেকে এ সিøপার, রেলপাটি এনে বসানো হচ্ছে। সূত্র জানায়, বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশন ভবন তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ লাখ টাকা। তার পাশে তৈরি কাস্টমস ভবনের জন্য ৭৩ লাখ টাকা ও যাত্রী নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে পুলিশের একটি ব্যারাক নির্মাণ কাজের জন্য ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ টাকা। বর্তমানে সেখানে রং ও টাইলস বসানোর কাজ চলছে। শুধু এই তিনটি অবকাঠামোতে সরকার ব্যয় করছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। সরেজমিন যশোর রেলস্টেশন থেকে মালঞ্চি এলাকায় দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে চলছে রেলপাটি ও স্লিপার বসানোর কাজ। শাবল, গাইতি, হাম্বর, হাতুড়ি, আগর নিয়ে রেল শ্রমিকরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তারা যশোর রেলস্টেশন থেকে ট্রলিতে করে রেলপাতি, স্লিপার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঠেলে পৌঁছে দিচ্ছেন কাজের স্থানে। বাকিরা সেগুলোকে নিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন যথাযথ স্থানে। খোলাডাঙ্গা এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল অবধি নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছেন।
×