ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববাজারে টানা ৫ বছর ধরে কমছে খাদ্য পণ্যের দাম

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

বিশ্ববাজারে টানা ৫ বছর ধরে কমছে খাদ্য পণ্যের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদায়ী বছরে বিশ্ববাজারে ফের কমেছে খাদ্যের দাম। এ নিয়ে টানা ৫ বছর দাম কমল। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে আমদানিকৃত সব পণ্যের দাম। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, ২০১৬ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে খাবারের সার্বিক মূল্যসূচকে কোন পরিবর্তন হয়নি। নবেম্বরের মতো এ মাসেও গড় সূচক অবস্থান করেছে ১৭২ পয়েন্টে। তবে ২০১৫ সালের তুলনায় আলোচ্য বছরে খাবারের দাম কমেছে ১.৫ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ৫ম বছরের মতো খাদ্যের মূল্যসূচক কমেছে। সর্বশেষ বছরে গড় সূচক দাঁড়িয়েছে ১৬১.৬ শতাংশে। বিশ্বব্যাপী ৫ ধরনের পণ্যের দাম নিয়ে গবেষণা করে প্রতি মাসে প্রতিবেদন তৈরি করে ফাও। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে দানাজাতীয় শস্য, ভোজ্য তেল, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং চিনি। ডিসেম্বরের মূল্যসূচকে দেখা গেছে, নবেম্বরের তুলনায় ভোজ্য তেল ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে চিনি ও মাংসের দাম কমেছে। তবে গত এক বছরের হিসাব বলছে, ২০১৬ সালে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কমেছে দানাজাতীয় শস্য, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম। জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এল নিনোর প্রভাবে কিছু মৌসুমি পণ্যের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সে কারণে ২০১৬ সাল চিনি ও ভোজ্য তেল উৎপাদন অনুকূলে ছিল না। ফলে পণ্য দুটির দাম বেড়েছে। তবে খাদ্যশস্য, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বেশি থাকায় পণ্যগুলোর দাম কমেছে। আলোচ্য বছরে ২০১১ সাল থেকে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩৪.২ ও ১১.৪ শতাংশ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে সাগরের বিদ্যমান আবহাওয়ার পরিবর্তনকে এল নিনো নামে ডাকা হয়। এল নিনোর কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়াসহ নানা দুর্যোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এছাড়াও এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফাওর উর্ধতন অর্থনীতিবিদ আবদুলরেজা আব্বাসিয়ান জানিয়েছেন, মুদ্রার দরে উল্লেখযোগ্য উত্থান-পতনসহ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা খাদ্যবাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। যার কারণে পুরো বছরে খাদ্যের দাম কমেছে। চলতি বছরও এ প্রভাব বজায় থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
×