ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লোকসানি কে এ্যান্ড কিউয়ের দর বেড়েছে ৪৭.৭৮ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

লোকসানি কে এ্যান্ড কিউয়ের দর বেড়েছে ৪৭.৭৮ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উৎপাদন বন্ধ থাকলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাত সপ্তাহের ব্যবধানে কে এ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার দর ৪৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। যদিও সাম্প্রতিক এমন দরবৃদ্ধির পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে ২০১৬ সালের ২৩ নবেম্বর কে এ্যান্ড কিউর শেয়ার দর ছিল ২৭ টাকা। ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি তা ৩৯ টাকা ৯০ পয়সায় উন্নীত হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারও কোম্পানির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে ৪৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। উৎপাদন বন্ধ থাকার পরও কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির নেপথ্যে কিছু আছে কিনা জানতে চায় ডিএসই। লোকসানের কারণে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসের জন্য কোন লভ্যাংশ দেয়নি কে এ্যান্ড কিউর পরিচালনা পর্ষদ। অবশ্য এ সময়ে লোকসান কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি। গেল হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা। জুন ক্লোজিংয়ের বাধ্যবাধকতায় এবার ১৮ মাসে হিসাব বছর গণনা করেছে তারা। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে কে এ্যান্ড কিউর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬৬ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যেখানে লোকসান ছিল ২৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। প্রসঙ্গত, তৎকালীন বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থার (বিএসআরএস) আর্থিক ও কোরীয় এসটিসি কর্পোরেশনের কারিগরি সহায়তায় আশির দশকে দেশে ড্রাইসেল ব্যাটারির কার্বন রড উৎপাদন শুরু করে কে এ্যান্ড কিউ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এক পর্যায়ে রফতানিও শুরু করে কোম্পানিটি। তবে প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ব্যবসায়িক বাস্তবতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় লোকসান বাড়তে থাকে। গেল হিসাব বছরে কার্বন রডের পাশাপাশি আলকাতরা ইউনিটও বন্ধ করে দেয় তারা। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ২৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৩ দশমিক ৮৪ ও বাকি ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
×