ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হতে পারে ॥ সাক্ষাতকারে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট

এক চীন নীতি বদলাবেন ট্রাম্প!

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

এক চীন নীতি বদলাবেন ট্রাম্প!

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দশকের পুরনো ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মতৈক্যের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ নন বলে ধারণা দেন। এক মাস আগে তিনি তাইওয়ানের নেত্রী সাই ইং ওয়েনের কাছ থেকে ফোন রিসিফ করে তার ওই প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক করেন। শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলেও আভাস দেন। তিনি এভাবে ইঙ্গিত দিলেন যে, তিনি বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বৃহত প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে ঢেলে সাজাতে তার সব প্রভাবকে কাজে লাগাবেন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও টেলিগ্রাফ অনলাইনের। তাইওয়ান সম্পর্কে ‘এক চীন’ নীতি তিনি সমর্থন করেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প পত্রিকাটিকে বলেন, কোন প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে তিনি চীনের মুদ্রানীতি ও বাণিজ্য তৎপরতা নিয়ে বেজিংয়ের কাছ থেকে অগ্রগতি দেখতে চান। তিনি বলেন, এক চীন নীতিসহ সব কিছুই আলোচনার মধ্যে রয়েছে। ট্রাম্প নির্বাচনী বিজয়ের পর তাইওয়ানের নেত্রীর কাছ থেকে অভিনন্দনমূলক ফোন কল গ্রহণ করে এবং ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে চীনাদের ক্ষুব্ধ করে তোলেন। এ নীতি কয়েক দশক ধরে বেজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি হয়ে রয়েছে। কেবল একটি চীনই রয়েছে এবং তাইওয়ান চীনের অংশ চীনাদের এ অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেয়। ইতোপূর্বে ট্রাম্প বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি চীনকে মুদ্রা মানের কারচুপিকারী হিসেবে অভিহিত করবেন। সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসে প্রবেশের প্রথম দিন ওই পদক্ষেপ নেবেন না। তিনি বলেন, আমি প্রথমে তাদের সঙ্গে কথা বলব। তিনি বলেন, অবশ্যই তারা কারচুপিকারী। কিন্তু আমি সেটি করতে চাচ্ছি না। কিন্তু তিনি চীনের মুদ্রানীতি সম্পর্কিত কাজকর্মে তার অসন্তোষ স্পষ্টভাবেই ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মুদ্রামান হ্রাস করছি’ এ কথা বলার বদলে তারা বলে, ‘ও, আমাদের মুদ্রার মান পড়ে যাচ্ছে।’ এটি পড়ে যাচ্ছে না। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এটি করছে। ট্রাম্প বলেন, আমাদের মুদ্রাশক্তিশালী বলে আমাদের কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। এটি আমাদের সর্বনাশ করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের অফিসে ফোন করে কোন জবাব পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত সাক্ষাতকার নিয়ে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে পাঠানো অনুরোধেরও তাৎক্ষণিক জবাব দেয়নি। মস্কোর সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অন্তত কিছু সময়ের জন্য বহাল রাখবেন। মস্কোর কথিত সাইবার হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওবামা প্রশাসন ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। কিন্তু তিনি এ কথাও বলেন, যদি রাশিয়া আসলেই আমাদের সাহায্য করে, যদি কেউ আসলেই কোন বড় কাজ করে, তবে কেন কেউ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখবে? ট্রাম্প আভাস দেন যে, যদি মস্কো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন অন্যান্য লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়ক প্রমাণিত হয়, তবে তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন। আগামী প্রেসিডেন্ট ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, তিনি ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর কোন সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাজি আছেন। তিনি বলেন, আমি জানি তারা সাক্ষাত করতে পছন্দ করবেন এবং তা আমার খুবই ভাল লাগবে।
×