ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পেলেন বাইডেন

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পেলেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অব ফ্রিডম প্রদান করা হয়েছে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আবেগাপ্লুত বাইডেনকে এই সম্মাননায় ভূষিত করেন। খবর বিবিসি ও এএফপি’র। আমেরিকানদের প্রতি বিশ্বস্ততা, দেশের প্রতি ভালবাসা এবং জীবনভর সেবাদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হবে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদায়বেলায় বাইডেন এই সম্মাননা অর্জন করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ঘোষণায় বিস্মিত ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাইডেন। অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি ওবামার কাছ থেকে সম্মাননার মেডাল গলায় পরে নেন। বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন। ওবামাকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, তিনি একজন অসাধারণ মানুষের যাত্রার অংশীদার ছিলেন, যিনি অসাধারণ সব কাজ করেছেন। বিস্মিত বাইডেন জানান, এই পদক পেতে যাচ্ছেন এমন কোন ধারণাই তার ছিল না। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট, আমি আপনার কাছে ঋণী, আপনার বন্ধুত্বের কাছে ঋণী, ঋণী আপনার পরিবারের কাছে। অন্যদিকে, বাইডেনকে নিজের হাতে এই পদক দিয়ে যেতে পেরে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অব ফ্রিডম’ ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি চালু করেন। এর আগে ১৯৪৫ সালে মেডাল অব ফ্রিডম পদক চালু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেবাদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেসামরিক এই পদকে ভূষিত করা হতো। রাজনীতি, ব্যবসা, সামরিক, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, সাংবাদিকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হয় এই পদক। পোল্যান্ডে মার্কিন সৈন্য সমাবেশে রাশিয়ার উদ্বেগ পোল্যান্ডে তিন সহস্রাধিক মার্কিন সৈন্যের উপস্থিতি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে। পোল্যান্ডে মার্কিন সৈন্যের এই উপস্থিতি আগ্রাসী রাশিয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ থেকে ন্যাটোর মিত্র দেশগুলোকে পুনরায় আশ্বস্ত করার একটি অংশ। কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে এটাই সবচেয়ে বেশি মার্কিন সামরিক সমাবেশে ঘটনা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকোভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ আমাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’ ‘তারা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ইউরোপে আমাদের সীমান্তে তাদের সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এমনকি তারা কোন ইউরোপীয় দেশ নয়। -এএফপি
×