মার্কিন টেক জায়ান্ট এ্যাপলের পরবর্তী আইফোনে কোন পোর্টই রাখা হবে না এমন গুজব আবারও কিছুটা বেগ পেয়েছে। তারবিহীন চার্জিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এনারগাস ওয়াটআপ’ প্রধান স্টিভ রিজোন আইফোনে পোর্ট না রাখার ব্যাপারে জোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি ইঙ্গিত দেন যে এ্যাপলের পরবর্তী মোবাইল ডিভাইসে তাদের তারবিহীন চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। সাক্ষাতকারে রিজোন বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম ইলেক্ট্রনিক ভোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটির সঙ্গে তারা কৌশলগত অংশীদারিত্ব করেছে।’ তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করলেও বিস্তৃতভাবে এখানে এ্যাপলকেই ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে পারছি না এটি কে। কিন্তু আমি ভার্চুয়ালি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে আপনার নিকট ব্যক্তি যিনি আপনার ডেস্কে বসে আছেন বা আপনার বাড়িতে রয়েছেন বা আপনার কাছেই ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য রয়েছে।’ নতুন আইফোনে চার্জিং পোর্ট রাখা না হলে তা হবে প্রথম সত্যিকারের তারবিহীন স্মার্টফোন। প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ আইফোন ৭ থেকে হেডফোন জ্যাক বাদ দিয়েছে এ্যাপল। আর সেইসঙ্গে নতুন তারবিহীন হেডফোনও উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই পরবর্তী আইফোনে চার্জিং পোর্টও রাখা হবে না তার খুব ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথাগতভাবে এ্যাপলের আইফোন ৭-এর পর আইফোন ৭ এস উন্মোচন করার কথা। আর এস ডিভাইসগুলোতে সাধারণত অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করে এর কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়। বাহ্যিক দিক থেকে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। এবারও হয়ত একই রীতি মানবে এ্যাপল। কিন্তু এর পরবর্তীতে আইফোন ৮-এ নতুন এই পরিবর্তন আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে যেসব তারবিহীন চার্জিং প্রযুক্তি রয়েছে তাতে স্মার্টফোনটি একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের ওপর রাখলে ডিভাইসটি চার্জ হয়। কিন্তু সেখান থেকে ডিভাইসটি সরিয়ে ফেললে চার্জ নেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে এনারগাসের চার্জিং প্রযুক্তি বাড়িতে বা অফিসে রাখা ডিভাইস থেকে ১৫ ফুট দূর থেকেই চার্জ নিতে পারে বলে জানিয়েছে, ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দূর থেকে চার্জ নেয়ার সময় শক্তির অপচয়সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত বাধা কাটিয়ে উঠতে কাজ করছে এ্যাপল এবং ২০১৭ সালে যে আইফোন আনা হবে তাতে এই প্রযুক্তি দেখা যাবে।’
সূত্র : ট্যাবলয়েড মিরর