ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ৩ দিনের কর্মসূচী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ৩ দিনের কর্মসূচী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। শুক্রবার রাজধানীর মহাখালিতে নির্মূল কমিটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান সংগঠনটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুলও উপস্থিত ছিলেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে ২৫টি পায়রা উড়িয়ে রজতজয়ন্তী ও ৭ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। এর আগে শহীদ পরিবারের ৫ সদস্য জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির পাশাপশি ৫ বিদেশী অতিথি বক্তব্য রাখবেন। এই অধিবেশনে শহীদ পরিবারের ৫ সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। প্রথম অধিবেশন শেষে বেলা ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে বলেও তিনি জানান। শাহরিয়ার কবির বলেন, ওই দিন বিকেল তিনটায় মূল অধিবেশনে ৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির পাশাপাশি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই দিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে বিদেশী অতিথিদের নিয়ে। ২১ জানুয়ারি বিদেশীদের নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন এবং রাতে বিদেশী অতিথিদের সম্মানে নৈশভোজের মাধ্যমে শেষ হবে রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা। শহীদ পরিবারের যে পাঁচ সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হবে তারা হলেন- শহীদ শিক্ষাবিদ মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী লিলি চৌধুরী, শহীদ সাংবাদিক শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার, শহীদ ডাক্তার আলীম চৌধুরীর স্ত্রী স্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদ চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের স্ত্রী সুচন্দা রায়হান এবং শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা আরা মাহমুদ। এই পাঁচজনকে সংবর্ধনা দেয়ার বিষয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ১৯৯২ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে আসছে। কিন্তু ১৯৭২ সালেই ঘাতকদের বিচারের দাবিতে প্রথম রাজপথে নেমেছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাই তাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদের একটু সম্মান দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে পাঁচ বিদেশী অতিথি বক্তব্য রাখবেন- কানাডা থেকে আগত এ্যাটর্নি উইলিয়াম সেøান, সুইডেনের মানবাধিকার কর্মী এরিখ হুদলান্দ, ভারত থেকে আগত অধ্যাপক সৈয়দ তানভির নাসরিন, পাকিস্তানের ইসলামী চিন্তাবিদ সৈয়দ হায়দার ফারুখ মওদুদী এবং নেপালের সাংবাদিক যুবনাথ লামসাল। মতবিনিয়ম সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে জুলফিকার আলী মানিক, ইশতিয়াক রেজা, আনিস আলমগীর, রাহুল রাহা, রাজিব নূর এবং বিভাষ বাড়ৈ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুখ্যাত মানবতা বিরোধী অপরাধী গোলাম আযমকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ তাদের দলের আমির ঘোষণা করলে বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। তিনি হন এর আহ্বায়ক। এর পর থেকে প্রতিবছর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ১৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে আসছে।
×