ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্মলির বুদ্ধিতে বাফুফের কা-...

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

স্মলির বুদ্ধিতে বাফুফের কা-...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ যেন উল্টো নিয়ম। সবাই জানে, চাকুরি আগে থাকে অস্থায়ী। পরে সেটা স্থায়ী হয়। কিন্তু দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) ঘটেছে উল্টো কাহিনী। এখানে আগে যেখানে চাকরি ছিল স্থায়ী, এখন সেখানে চাকরি হয়ে গেছে অস্থায়ী। বেতন বাড়বে না, থাকবে না উৎসব ভাতা। এমন সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে একাধিক স্টাফ চাকরি ছেড়ে দেয়ার নোটিস দিয়েছেন। বাকিরাও আছেন সংশয়ের দোলাচলে। তবে কাজে গতি আনতে আর পেশাদারিত্ব বাড়াতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বাফুফে। পেশাদারিত্বের পথে হাঁটতে গিয়ে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিকে নিয়োগ দিয়েছে ফেডারেশন। মূলত তার বুদ্ধিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। এ প্রেক্ষিতে অনেকেই বলছেনÑ অপেশাদার পথে হাঁটছে বাফুফে। স্মলির পরামর্শ বাস্তবায়ন করায় স্থায়ী থেকে হঠাৎ অস্থায়ী হয়ে গেছেন ফেডারেশনের ১৩ কর্মকর্তা। অস্থিতিশীল এই পরিস্থিতিতে ইস্তফার নোটিস দিয়েছেন চারজন। বাকিরাও খুঁজছেন বিকল্প চাকরি। বেতন বাকি পড়েছিল আগেই। সেই সঙ্গে বাড়ছিল দেনার ভার। তাই খরচ কমাতে আর কর্মচারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। এ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই আলোচনা চলছিল। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রমের নতুন পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে বুধবার থেকে। ই-মেইলে নতুন এই পদ্ধতি জানিয়ে দেয়া হয়েছে সবাইকে। সেখানে থাকছে না উৎসব ভাতা। বেতন বাড়বে কি না, তারও ব্যাখ্যা নেই। বরং চাকরি চলে যেতে পারে চার সপ্তাহের নোটিসে। প্রতি তিনমাস পরপর কাজের অবস্থা যাচাই করে পরবর্তী চুক্তি হবে। তবে সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য সম্পর্কে নীরবই আছে বাফুফে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ভার যেসব কর্মকর্তাদের ওপর, তাদের আগ্রহ নষ্ট করে, চরম চাপেÑ অনিশ্চয়তায় ফেলে কতটা সফল হবে বাফুফে? সাফল্যের ফিরিস্তি দিলেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক বিষয়াদি ও চলমান কার্যক্রমের ওপর সংবাদ সম্মেলন ডেকে সরকারের তিন বছরের নানা ফিরিস্তি এবং পরে সফলতার ফিরিস্তি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। শুক্রবার ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এই সম্মেলনে জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হয়েছে। দেশের প্রতিটি স্টেডিয়ামে সংস্কার হয়েছে। ফুটবলের দৈনদশা আমাকে কষ্ট দেয়। তবে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের হারকে একটি দুর্ঘটনা। নিশ্চয়ই এই অবস্থা থেকে দ্রুত ফুটবল ঘুরে দাঁড়াবে।’ নারী ফুটবল দল সাফে রানার্সআপ হওয়ার পরও কোন ধরনের স্বীকৃতি জোটেনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী উপস্থিত হয়েও মেয়েদের জন্য কোন আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা দেননি। অথচ সাবিনা খাতুনের দুবাই লীগে সুযোগ পাওয়াটাকে ঠিকই তার মন্ত্রণালয়ের সফলতা বলে দাবি করেন জয়।
×