ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও রোনাল্ডোর স্যালন ডি’অর জয়

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

আবারও রোনাল্ডোর স্যালন ডি’অর জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফ্যাশন দুনিয়াকে সচেতনভাবেই এড়িয়ে চলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার খোঁজ-খবর যারা রাখেন তারা তা খুব ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পারেন। কিন্তু গত বছর ফুটবলপ্রেমীদের সেই ধারণাটাকে একেবারেই বদলে দেন এলএম টেন। কোপা আমেরিকায় চিলির কাছে হেরে গোটা বিশ্বকে অবাক করে আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় জানিয়ে দেন তিনি। এরপরই চলে যান ছুটিতে। তবে ছুটি কাটিয়েই যেন নতুন মেসির আবির্ভাব ঘটে ফুটবল দুনিয়ায়। চুলের স্টাইল সম্পূর্ণরূপেই বদলে বার্সিলোনায় ফিরেন তিনি। সেই পরিবর্তনের ফলও পেয়েছেন ফিফার পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। যে মেসি স্যালন ডি’অর জয়ের তালিকায় শীর্ষ ২০-এ জায়গা পাননি এবার সেই মেসিই হয়েছেন দ্বিতীয়। তবে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি শুধু রোনাল্ডোকে। ফুটবলে গত বছরটা তো ছিল ‘রোনাল্ডোময়।’ তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এর মাঝে মাঠের বাইরে হেয়ার স্টাইলেও বৈচিত্র্যতা ধরে রেখেছেন তিনি। তারই পুরস্কার হিসেবে সেরা চুলের জন্য টানা তিনবার স্যালন ডি’অর জয়ের স্বাদ পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের এই পর্তুগীজ সুপারস্টার। স্যালন ডি’অরের আয়োজক ফুটবলের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোলডটকম। বর্তমান সময়ে চুলের স্টাইলে কোন ফুটবলার সেরা? তা নির্বাচন করেন গোলডটকমের পাঠকরা। এবার এতে অংশ নিয়েছিলেন ১৯ হাজার ১১১ জন পাঠক। যার মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ভোট দিয়েছেন ২১ শতাংশ পাঠক। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যালন ডি’অর জয়ের পর গত সপ্তাহে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারও নিজের শোকেসে তুলেছেন রোনাল্ডো। এই দু’টি পুরস্কারের দৌড়েই দ্বিতীয় হয়েছেন লিওনেল মেসি। স্যালন ডি’অরেও তার জায়গা হয়েছে রোনাল্ডোর পরে। এর আগে কখনই শীর্ষ বিশে জায়গা না পেলেও এলএম টেন এবার পাঠকের ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। গত বছরে চতুর্থ হওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরাসী তারকা পল পগবা এবার ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আর্সেনালের অলিভিয়ের জিরুড। আর ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন ইভান পেরেসিক। গত বছর রোনাল্ডো প্রথমবারের মতো পর্তুগালকে ইউরোর শিরোপা উপহার দিয়েছেন। এবারই প্রথম কনফেডারেশন্স কাপে খেলতে যাচ্ছেন তিনি। রাশিয়ায় হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়েরও স্বপ্ন বুনছেন তিনি। ইউরোর চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবার কনফেডারেশন্স কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা পর্তুগাল খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। গ্রুপের বাকি তিন দল যথাক্রমে স্বাগতিক রাশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মেক্সিকো। কনফেডারেশন্স কাপের প্রত্যাশা নিয়ে এক সাক্ষাতকারে রোনাল্ডো বলেন, ‘এই প্রথম পর্তুগাল কনফেডারেশন্স কাপ ট্রফিতে লড়বে। দারুণ ব্যাপার। অবশ্যই এই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখি। যদিও আমরা জানি, কিছু শক্তিশালী দল থাকায় লড়াইটা অনেক কঠিন হবে। কিন্তু ফুটবলে সবকিছুই সম্ভব।’ এবারের কনফেডারেশন্স কাপে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী। যেখানে রয়েছে কোপা আমেরিকা জয়ী চিলি, বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানি, এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স জয়ীরা। প্রতিযোগিতাটির সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল চারবার এর শিরোপা জিতেছে।
×