ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে পুরনো নিয়মে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

চট্টগ্রামে পুরনো নিয়মে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে পুরনো নিয়মে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের দাবি জানিয়েছে ‘করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’। সংগঠনটির নেতারা বলেন, নতুন করে ধার্য করা কর পুনঃমূল্যায়ন কার্যক্রম ৩০ দিনের মধ্যে বন্ধ করা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, আগে পুরো বাড়ি মেপে বর্গফুট হিসাবে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হত। এখন মোট বাড়ি ভাড়ার ওপর কর নির্ধারণ করা হচ্ছে। সাবেক চার মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং এম মঞ্জুর আলমের সময়েও বর্গফুট হিসাবে কর নির্ধারণের নিয়ম ছিল। তারা বলেন, স্থায়ীভাবে বসবাসরত বাসিন্দাদের স্থাবর সম্পত্তির ওপর ১৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করে সিটি কর্পোরেশন যে সম্প্রতি যে গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা গণবিরোধী। সে অনুযায়ী কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্যাক্স নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে। এ পদ্ধতি চালু হলে বাড়ির মালিকদের ওপর চাপ বাড়বে, যে চাপ গিয়ে পড়বে ভাড়াটিয়াদের ওপর। পরিষদের আহ্বায়ক হাকিম মুহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বাড়িওয়ালাদের পাস কাটিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কর মূল্যায়ন করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুরুল আবসার। উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, এমএ মালেক, হাজী জাফর আহমেদ, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল হক প্রমুখ। তারা বলেন, রাজধানী ঢাকাতে এখনও হোল্ডিং ট্যাক্স ১৪ শতাংশ। তাহলে চট্টগ্রামে কেন ১৭ শতাংশ হবে।কর কার্যক্রমকে সহনীয় ও জনবান্ধব করতে তারা চসিক মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান। সদর হাসপাতাল ডাক্তারদের আবাসিক ভবনে অফিস স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ তিন ইউনিটের বিশাল এই তিন তলার ভবনটি দখল নিয়ে অফিস করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা নামের অফিসটি থাকার কথা উপজেলা চত্বরে। তার জন্য ভবনও বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু সেখানে না গিয়ে তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরের দু’জন সিনিয়র কনসালটেন্ডের বাসভবন দখল নিয়ে অফিস করে রেখেছে। এক বছরের অধিক সময় ধরে তারা হাসপাতালের ডাক্তারের বাসভবন দখল নিয়ে অফিস করে থাকলেও কোন ভাড়া দিচ্ছে না। অথচও ডাক্তার থাকলে তাদের বেতন ভেদে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হতো। কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও কোন ভাড়া দিচ্ছে না। অর্থাৎ গত এক বছরে সরকার ভাড়া বাবদ প্রায় ছয় লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ব্যাপারে সিভিল সার্জন অফিস কোন মন্তব্য করতে চাননি। পাশাপাশি হাসপাতালের আপদকালীন দায়িত্বপালন রতো ডাক্তারদের বাস ভবন জোর করে দখল নিয়ে ভাড়া না দিয় অফিস হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে। ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ বাসভবন দখল করে রাখায় এসব ডাক্তার আবাসিক পর্যায়ে না থেকে বাহিরে বাসা ভাড়া নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের জন্য উপজেলা চত্বরে ভবন বরাদ্দ রয়েছে।
×