ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বরাদ্দকৃত সরকারী বাসার বেশিরভাগই ভাড়া দেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

রাজধানীতে বরাদ্দকৃত সরকারী বাসার বেশিরভাগই ভাড়া দেয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে বরাদ্দকৃত সরকারী বাসার বেশিরভাগই ভাড়া দেয়া হচ্ছে। চাহিদার তুলনার বাসার সংখ্যা অনেক কম হলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ দেয়ার কারণে তদারকি করতে পারছে না খোদ আবাসন অধিদফতর। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় তদারকি করলেও সরকাীর বাসার বাসিন্দাদের বিষয়ে ওয়াকিবহাল নয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। আজিমপুর সরকারী কলোনীর দেয়ালের গায়ে টু-লেট দেখে ফোন দেয়া হয়। সাড়ে আট হাজার টাকায় ভাড়া দেয়ার শর্তে কথা বলেন জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির এক কর্মচারী। ফোনালাপে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ভাড়া সাড়ে আট হাজার টাকা।’ কিন্তু ঘটনা পাল্টে যায় পরেই। বাসায় আসার পর সময়ের ক্যামেরা দেখে ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান ওই ব্যক্তি। ওই এলাকার নিরাপত্তাকর্মীও জানালেন, কলোনিতে ভাড়াটিয়ার সংখ্যা কম নয়। কেবল আজিমপুর নয়, রাজধানীর অন্যান্য সরকারী কলোনির চিত্রও একই রকম। কিছুটা কম ভাড়া ও ঝক্কি কম থাকায় ভাড়াটিয়াদের কাছেও সরকারী বাসার চাহিদা বেশ। তবে সরকারী বাসার ভাড়া নেয়া নিয়ে কারও কারও অভিযোগ আছে। তারা জানান, প্রতি মাসে তাদের বাড়ি ভাড়া ৫শ’ থেকে ১ হাজার বাড়ানো হয়। মাত্র ৭ শতাংশ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকায় বাসা পাচ্ছেন, বাকিদের বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারী আবাসন পরিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে এ বি সি শ্রেণীর বাসার সংখ্যা ৭৪৫৭, ডি-২ হতে তদুর্ধ শ্রেণীর বাসার সংখ্যা-৫৭৩১, ঢাকায় সর্বমোট সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ১,৬৫,০০০। আবাসন পরিদফতরের পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, ‘যদি এলাকা বড় হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ম্যানেজ করা খুব ডিফিকাল্ট হয়। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বলে দেয়া হয়েছে এর বাইরে যদি কোন লোক থাকে আইডেন্টিফাই করে তাদের সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেই। আর সেই সঙ্গে বরাদ্দ বাতিল করারও চেষ্টা করি।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সরকারী বাসা ভাড়া দেয়ার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে তারা বলছে, এসব বাসায় কোন ধরনের অপরাধ ঘটলে তার দায় নিতে হবে বরাদ্দপ্রাপ্তদেরই। বাসা বরাদ্দ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে আবাসন পরিদফতর। তবে সরকারী এসব বাসায় থাকার সুযোগ নিয়ে কেউ কোন অপরাধে জড়িত হচ্ছে কি-না তা জানে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই এসব বাসা এখনই তদারকি দরকার বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
×