ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বনানীতে স্থাপনা উচ্ছেদ- সিটি কর্পোরেশন ও রেলের দুই মত!

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

বনানীতে স্থাপনা উচ্ছেদ- সিটি কর্পোরেশন ও রেলের দুই মত!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানী স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমিতে গড়ে ওঠা দুটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। অনুমোদন ছাড়াই এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে দাবি করে মেয়র আনিসুল হকের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে রেলওয়ের কাছ থেকে বৈধভাবে ইজারা নেয়া জমিতে তৈরি স্থাপনা দুটি বৈধভাবেই গড়ে তোলা হয় দাবি করে উচ্ছেদে আপত্তি জানিয়েছেন রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার অভিযান চালিয়ে ক্যাফে বনানী ও তেহারি অন হুইল নামে দুটি খাবারের দোকান ভেঙ্গে দেন। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলামসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা এবং রেলওয়ের বিভাগীয় সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের শুরুতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুরোধে দোকান দুটি থেকে মালপত্র সরিয়ে নেয়ার পর বুলডোজার দিয়ে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। তখন ঘটনাস্থলে মেয়র আনিসুল বলেন, জায়গাটি রেলওয়ের হলেও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন স্থাপনা করতে হলে কর্পোরেশনের অনুমতি লাগে। তখন উপস্থিত রেলওয়ের বিভাগীয় সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের কাছে অবাণিজ্যিক এলাকায় দোকান করার অনুমতি কীভাবে দেয়া হলো তা জানতে চান মেয়র। জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল বলেন, এটা রেলের জমি। রেলের দৃষ্টিতে এটা কমার্শিয়াল এলাকা বলেই এখানে দোকান করার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ওই দোকান দুটি বসানোর অনুমতির ফাইলে সবার আগে কে সই করেছে জানতে চেয়ে মেয়র বলেন, আমি মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছি, সেক্রেটারিকে জিজ্ঞেস করেছি। ওনারা কিছুই জানেন না। পরে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সারা শহরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এভাবে জমি দিচ্ছে। আর এর বোঝা বহন করতে হয় সিটি কর্পোরেশনকে। ওনাদের দৃষ্টিতে এটা কমার্শিয়াল এলাকা। আর সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স ছাড়া এটা কীভাবে দেয় ‘আই ডোন্ট নো’। আমরা কোন লাইসেন্স দিইনি, এটা কমার্শিয়াল এলাকা হয়ে গেছে। পুরো শহরের অবাণিজ্যিক এলাকায় গড়ে তোলা সব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত আছে বলে জানান মেয়র।
×