ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জ্যাকেট- প্রয়োজনে এবং ফ্যাশনে...

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

জ্যাকেট- প্রয়োজনে এবং ফ্যাশনে...

এমন মৌসুম এলেই লোকে শীত তাড়াতে চাইতো আগে, এখনও চায় কেউ কেউ। চায় বলতে, চাইতে বাধ্য হয়। সেটা যে কোনো উপায়েই হোক। কী হাল হলো তাতে চেহারা-সুরতের, দেখার অবকাশ কোথায়! শীত তাড়ানোই স্বার্থকতা। নিয়মে বেঁধে দেয়া ঘড়ির কাঁটার প্রতি কদমে, হিসাব করতে পারা সময়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, অধিকাংশ মানুষই আজকাল ফ্যাশনটা ভালই বুঝতে শিখেছে। সচেতনতাও বাড়ছে তুমুল ফ্যাশন সংক্রান্ত। এখন ওই ‘কেউ কেউ’ ছাড়া বাকিরা আর শীত তাড়াতে চায় না, উপভোগ করতে চায়। শীতের সঙ্গে মিলেমিশে সংসার করতে চায়। তাতে যেসব বসনের দরকার হয়, জ্যাকেট তার মধ্যে অন্যতম। বাহারি শপিং মল, ফ্যাশন হাউস, পাইকারি ও খুচরা কাপড়ের দোকান, এমনকি ফুটপাথেও ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন রকমের জ্যাকেট দেখতে পাওয়া যায়। বাজার ঘুরে জানা যায়- ডেনিম, রেকসিন, ফ্লানেল, কর্ড, উল, মোটা ক্যানভাসের কাপড়, প্যারাসুটের কাপড় এবং লেদারের তৈরি জ্যাকেটের মধ্যে ডেনিম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আবার। লেদারের জ্যাকেটও কম যায় না। ভালই দখলে রেখেছে বাজার। যদিও বৈচিত্র্য আছে সব রকমের জ্যাকেটেরই। রঙের পাশাপাশি ভিন্নতা আছে জিপার, ওয়েল্টেট পকেট এবং বোতামেও। বেসিক ওয়েস্টলেস জিপ ফ্রন্ট জ্যাকেট, ক্লাসিক লেন্থ জিপ ফ্রন্ট কিংবা টু বাটন, ফোর বাটন জ্যাকেট, ভেলেন্ট লেদার রাইডিং জ্যাকেট, ইলাস্টিকসহ বোম্বার স্টাইল জ্যাকেট, মোটরবাইক, মিলিটারি, এভিয়েটর, রকস্টার, পাঙ্ক, পুলিশ জ্যাকেট, ব্ল্যাক লেদার জ্যাকেট, পিউ লেদার জ্যাকেট ইত্যাদি থেকে পছন্দমতো যে কোনোটা আপনি পরতেই পারেন। মাথা, কান ঢেকে রাখতে চাইলে হুডিসহ জ্যাকেট তো আছেই। পরতে পারেন মখমলের নকশা করা জ্যাকেটও। সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের প্যান্ট। পাফি জ্যাকেট পরতে চাইলে, ভেতরে কেবল টি-শার্ট বা হাই নেক সুয়েটার পরে নিলেই হবে। সঙ্গে জিন্স এবং পশমী বুটস। ব্যস। আর কিছুর দরকার নেই। স্ট্রিট স্টাইল হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে কার্গো বা মিলিটারি জ্যাকেট। সঙ্গে জিন্স এবং অ্যাঙ্কেল বুটস অথবা ¯িœকারস। মানাবে তো বটেই, শীতও উষ্ণতা নিয়ে আসবে পরম মমতায়। মেয়েদের কিছু জ্যাকেট বেশ ভারি ও রুক্ষ টেক্সচারের খাদি কাপড়ে তৈরি, দেশি নকশা আঁকা। চেক, স্ট্রাইপও আছে। এমনকি টাইডাই ও ব্লকপ্রিন্টও। সঙ্গে বোনাস হাতের কাজ। টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়া, জিন্স, টপ-প্যান্ট, লেগিংস এমনকি শাড়ির সঙ্গেও এসব জ্যাকেট বেশ মানিয়ে যায়। কুর্তা, টপস, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে ব্যবহার করার জন্যও বৈচিত্র্যময় জ্যাকেট পাওয়া যায় বাজারে। কিছু সামনে খোলা। আটকানোর জন্য কয়েকটা বোতাম বা ফিতা আছে। কিছু আবার ঘন বোতামের। বোতাম হিসেবে ব্যবহার হয়েছে নারকেলের মালা, কড়ি, পুঁতি, কাঠ ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিদেশি জ্যাকেটেও সয়লাব বাজার। চায়না জ্যাকেটের আধিক্য তো আছেই; ইরানী, এ্যারাবিক, বিলেতিও আছে পাল্লা দিয়ে। তাতেও যদি মন না ভরে, রুচিতে না মেলে; দর্জিবাড়ি প্রস্তুত। যুৎসই খরচে পছন্দমতো কাপড়, রঙ, ডিজাইনে তৈরি করে নিতে পারেন আপনার জ্যাকেট। ফ্যাশন হাউসগুলোতে তো বটেই, ছোট-বড় প্রায় সকল শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, বঙ্গবাজার, ইসলামপুর, আজিজ সুপার মার্কেট, রাজধানী সুপার মার্কেট, প্রিন্স প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে চোখ পড়লেই দেখা যায় জ্যাকেটের কী বিশাল সংগ্রহ। মান বিবেচনায় দামও প্রায় কাছাকাছি। যেমন, রেকসিন জ্যাকেট পাওয়া যায় ১২শ’ থেকে ২৫শ’ টাকার মধ্যে। লেদারের জ্যাকেট ২২শ’ থেকে ১২ হাজার, রেইন কোর্টের মতো পাতলা কাপড়ের জ্যাকেট ১৫শ’ থেকে ৩৫শ’, মখমলের জ্যাকেট ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার, সুতি কাপড়ের জ্যাকেট ১৮শ’ থেকে ৫ হাজার এবং খাদি কাপড়ের জ্যাকেট পাওয়া যায় ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।
×