ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

ঝলক

চিংড়ির খোসায় বাজারের ব্যাগ মাছের আঁশটে ও আবর্জনা নিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশের দুশ্চিন্তা থাকে। কারণ এটি অনেক সময় পরিবেশ দূষণ করে। তবে এবার চিংড়ির খোসা ও আঁশটে দিয়ে বাজারের ব্যাগ তৈরির এক চমৎকার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে নটিংহ্যাম ও মিসরের নিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বায়োইঞ্জিনিয়ার। এই গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন নিকোলা ইভারিত নামে এক অধ্যাপক। গবেষকরা চিংড়ির খোসা থেকে এক ধরনের পলিমার তৈরি করেছেন। গবেষক দল প্রাথমিকভাবে চিংড়ি, কাঁকড়া ও লবস্টারের খোসা সংগ্রহ করে গবেষণা শুরু করেন। তারা এসব খোসায় জৈব উপাদান খুঁজে পান। তারপর এই জৈব উপাদান থেকে পলিমার তৈরি করেন তারা। প্রাথমিকভাবে এই পলিমারের নাম দেয়া হয়েছে চিটোসান। গবেষকরা বলছেন, চিংড়ির খোসা দিয়ে ব্যাগ তৈরি করলে এটি হবে শতভাগ পরিবেশবান্ধব। সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। পরিমাণে কম কার্বন নির্গত হবে। আর এই ব্যাগ দিয়ে খাবার জড়িয়ে রাখলে অক্সিজেন চলাচল করবে। খাবার থাকবে স্বাস্থ্যকর। -স্পেস ডেইলি অবলম্বনে আত্মহত্যার গাছ অস্ট্রেলিয়ায় বিষাক্ত মাকড়সার খবর আগেই শোনা গেছে। কিন্তু এটা জানেন কি, দেশটিতে এমন এক ধরনের গাছ রয়েছে যার কারণে আপনি চাইবেন আপনার যেন দ্রুত মৃত্যু ঘটে! ‘ড্রেনড্রকনাইড মরডেস’ নামে এ ধরনের প্রাণঘাতী গাছ দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেইনফরেস্ট অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা এটিকে ‘আত্মহত্যার গাছ’ হিসেবে চেনে। ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠা যন্ত্রণাদায়ক এই গুল্মকে আবার অনেকে ‘গেম্পি গেম্পি’ ও ‘মুনলাইটার’ নামেও ডাকে। খবরে বলা হয়েছে, এই গাছের হুল শরীরে লাগলে তা এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে, একজন ভুক্তভোগী ওই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। এর একটি বাস্তব উদাহরণও রয়েছে। কিন্তু কেন? হুলে আচ্ছাদিত এই গাছটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন নিওরোটক্সিন নির্গত করে। এই নিওরোটক্সিন শরীরে লাগলে দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতির জন্ম দেয়। অবশ্য এই গাছের হুল শরীরে বিঁধলে দ্রুত মোমের স্টিকের সাহায্যে ত্বকের হুল তুলে আক্রান্ত স্থানে হাইড্রোক্লোরিক এসিড লাগালে তাতে মোটামুটি কাজ দেয়। আর তা না করতে পারলে শরীরের যন্ত্রণা পাক্কা দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ভুক্তভোগীদের মতে, এই ব্যথা খুবই ভয়ঙ্কর। এক ব্যক্তি তা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। এক ভুক্তভোগী জানান, ‘দু বা তিন দিনের জন্য ব্যথা প্রায় অসহনীয় ছিল। আমি কোন কাজ করতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। এই যন্ত্রণা দু’বছর ধরে চলেছে। সব সময় আমি ঠা-া পানিতে বসে থাকতাম। -নেচার সায়েন্স অবলম্বনে।
×