অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার কেনার জন্য নিলামে (ইরফফরহম) অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। আর হালনাগাদ করা এসব তথ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জানাতে হবে স্টক এক্সচেঞ্জকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তবে হালনাগাদ তথ্য জানাতে এখন পর্যন্ত কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। অবশ্য শীঘ্রই এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে পুঁজিবাজারে আসছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড। এই পদ্ধতি অনুসারে প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করা হবে। যে দামে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হবে। ওই দাম থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হবে।
গত মাসের শেষভাগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডকে নিলামের মাধ্যমে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমতি দেয়।
প্রসঙ্গত, আমরা নেটওয়ার্কস হচ্ছে ২০১৫ সালে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের আওতায় বিডিংয়ের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম কোম্পানি। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
বিএসইসির অনুমোদনের ফলে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করার জন্য বিডিং করতে পারবে। নিলামে ১২টি ক্যাটাগরির প্রায় আড়াই শ’ প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে।
পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানির বিএমআরই (আধুনিকায়ন), ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াই-ফাই হটস্পট প্রতিষ্ঠা করা, আইপিওর কাজ ও ঋণ পরিশোধ করবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ২১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর ৫ বছরের ইপিএসের গড় করলে হয় ২ টাকা ৫২ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব (৬ মাসের) অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আর এনএভি হয়েছে ২৩ টাকা ৬৬ পয়সা।
স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন সাপেক্ষে ইস্যুয়ার কোম্পানি তারিখ নির্ধারণ করে একটানা ৭২ ঘণ।টা বিডিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা জমা নেয়ার সময়সূচী প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের হেড অব প্রাইমারি মার্কেট সার্ভিসেস ইফতেখার আলম সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আমরা নেটওয়াকর্সের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে ডিএসইর সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ডিএসই অনুমোদন দিলেই বিডিং শুরু হবে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদন বন্ধ করে। পরে দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে পদ্ধতিটি সংশোধন করে। সংশোধনের পর ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন প্রথম অনুমোদন পায়।
২০১৫ সালে বিএসইসি পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধন করে। এতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়মকানুনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: