ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ বছর লক্ষ্য অর্জন হবে না জিডিপিতে; পরের বছর আরও কমবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ জানুয়ারি ২০১৭

এ বছর লক্ষ্য অর্জন হবে না জিডিপিতে; পরের বছর আরও কমবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার সংস্থাটির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ২০১৭ (গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ এবং বিনিয়োগ কমবে। ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে। এরপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবার ঘুরে দাঁড়াবে এ দেশের অর্থনীতি; সে সময়ে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও কিছুটা বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়াবে। সংস্থাটি মনে করছে, আগামীতে বাংলাদেশের রেমিটেন্স ও রফতানি আয় কমবে। অন্যদিকে জ্বালানি আমদানি ব্যয় কমার কারণে আয়-ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করবে। বিশ্বব্যাংকের মতে, রাজস্ব খাতে ভারসাম্যহীনতা এবং আর্থিক ও কর্পোরেট ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা কমে যাওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকির কারণ। সরকারী খাতে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করার কারণেও ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যু ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের খেলাপী ঋণও ঝুঁকি বাড়াবে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে থাকবে ভুটান; ২০১৭ সালে (ক্যালেন্ডার ইয়ার) দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে ভারত; দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হবে। আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে ভারত। এছাড়া বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৭ সালে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিদায়ী বছরের চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০১৬ সালে বিশ্বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে ভূমিকা রাখবে উন্নয়নশীল অর্থনীতির উদীয়মান বাজার। তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ব্রেক্সিট।
×