ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ আদালতে যাবেন খালেদা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১২ জানুয়ারি ২০১৭

আজ আদালতে যাবেন খালেদা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত বিশেষ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই দুই মামলায় খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন। তিনি বেলা ১১টায় আদালতে উপস্থিত হবেন। পুরান ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষীর জেরার দিন ধার্য রয়েছে। একই সঙ্গে এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ঠিক করেছিলেন বিচারক। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ॥ এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। কাজী সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
×