ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

১৬ নং ব্লকে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স ও সান্তোস

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১২ জানুয়ারি ২০১৭

১৬ নং ব্লকে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স ও সান্তোস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বঙ্গোপসাগরের ১৬নং ব্লকে খনিজ অনুসন্ধান করবে বাপেক্স ও অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি সান্তোস। এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে ৫৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ব্লকের মগনামা রিং ফেন্সড এলাকায় এ অনুসন্ধান পরিচালিত হবে। এর আগে ১৬নং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সান্তোস বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল) বাপেক্স বরাবর একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী যৌথ বিনিয়োগে সম্মত হলে ৫০ ভাগ শেয়ারের ৪৯ ভাগ হস্তান্তর করতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটি। সান্তোস সংশোধিত নতুন প্রস্তাব দাখিল করে। বাপেক্সের ৩৭২তম বোর্ড সভায় সান্তোসের এ সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন পায়। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ অনুমোদন দিয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী এ তথ্য জানান, বঙ্গোপসাগরের খনিজ অনুসন্ধানের কাজ পরিচালনার জন্য বাপেক্স ও অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি সান্তোসকে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সেলস এ্যান্ড পার্সেস এগ্রিমেন্ট (এসপিএ) সইয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, মগনামা অনুসন্ধান কূপ-২ খনন করতে ২৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হবে। জিডিএফ তহবিল থেকে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে। অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান উত্তোলিত তেল-গ্যাস প্রথমে পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেবে, পেট্রোবাংলা প্রত্যাখ্যান করলে দেশের মধ্যেই তৃতীয় পক্ষের কাছে তা বিক্রি করতে হবে। অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- চট্টগ্রামের মীরসরাই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন প্রকল্পের ৪২টি প্যাকেজের কাজ বাস্তবায়নসহ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার পানি নিষ্কাশন উন্নয়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের কাজ রাষ্ট্রীয় জরুরী প্রয়োজনে বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন। এদিকে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ১৩০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কো ও তিউনিশিয়া ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে ৫০ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন। এর মধ্যে মরক্কো থেকে ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার মেট্রিকটন এবং তিউনিশিয়া থেকে ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার আমদানি করা হবে। ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য রাজস্ব বাজেটের আওতায় ম্যানেজম্যান্ট এ্যান্ড অপারেশন অব ই-জিপি সিস্টেম ইন বাংলাদেশ শীর্ষক পরামর্শক সেবা সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
×