ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘খবরটি ভুয়া, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা’

ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য রুশ গোয়েন্দাদের হাতে!

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৭

ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য রুশ গোয়েন্দাদের হাতে!

রুশ গোয়েন্দারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে খুবই বিব্রতকর ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করার কথা দাবি করেছেন বলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানরা ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার মার্কিন মিডিয়ায় এ খবর প্রচারিত হয়। ট্রাম্প এ খবরকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার প্রয়াস বলে অভিহিত করেন। এর আগে সিএনএন জানায়, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপ সম্পর্কে গত সপ্তাহে ট্রাম্পকে ব্রিফিং করার সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ চাঞ্চল্যকর ও অপ্রমাণিত দাবির সংক্ষিপ্ত সারও দেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের। ট্রাম্পের প্রচার শিবির ও মস্কোর মধ্যে গোপন যোাগযোগ ছিল বলে এক সাবেক পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তার দাবি সত্য বলে প্রমাণ করতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও এফবিআই কায়েক মাস ব্যয় করেছে। ঐ কর্মকর্তার সংকলিত অভিযোগে বলা হয়, রুশ সরকারের গোয়েন্দারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের উপদেষ্টা ও তার কোম্পানির কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা একথা জানান। ট্রাম্পকে ব্ল্যাকমেইল করতে কাজে লাগানো হতে পারে এমন তথ্য রাশিয়ার হাতে রয়েছে এ দাবিসহ ঐসব অভিযোগকে সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আগামী প্রেসিডেন্টকে অবহিত করার মতো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। সেজন্য তারা এগুলোকে গোপন ব্রিফিংয়ের দু’পৃষ্ঠার এক সংযোজন পত্রে সংক্ষেপে উল্লেখ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে চালানো প্রচার অভিযানকে প্রভাবিত করতে রুশ চেষ্টা সম্পর্কে ট্রাম্পকে গত শুক্রবার এ ব্রিফিং দেয়া হয়। অভিযোগগুলো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প টুইট করেন, ভুয়া খবর পুরো মাত্রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার প্রয়াস। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একই তথ্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও জানান বলে কর্মকর্তা উল্লেখ করেন। সংস্থাগুলো ঐসব অভিযোগ নিয়ে এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল সূত্রে জানানো হয়। ঐ সাবেক পশ্চিমা কর্মকর্তার লেখা একগুচ্ছ স্মারকে বর্ণিত অভিযোগগুলোর একটি হলো ট্রাম্পের এ্যাটনি মাইকেল কোহেন ক্রেমালিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং মস্কোর নির্দেশনায় হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচার শিবিরের বিরুদ্ধে তৎপর হ্যাকারদের কিভাবে নগদ অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। কোহেন চেক প্রজাতন্ত্রে গিয়েছিলেন বলে এফবিআই কোন প্রমাণ পায়নি। সেখানেই বৈঠকটি গত বছর আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। এক সাক্ষাতকারে কোহেন এরূপ কোন বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সাক্ষাতকারে বলেন যে, এসব ইস্যুতে এফবিআই বা অন্য কোন মার্কিন সংস্থা তার সঙ্গে কখনও যোগাযোগ করেনি। তিনি বলেন, ট্রাম্পও এসব বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কোহেন বলেন, সাংবাদিকরা এসব অভিযোগ নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে তিনি ইতোপূর্বে এগুলো সম্পর্কে জেনেছিলেন। রুশ কর্মকর্তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কিত হ্যাকিংয়ে বা এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা বারবার অস্বীকার করে এসেছেন। অপ্রমাণিত অভিযোগগুলো প্রকাশ পাওয়ায় সপ্তাহটি ট্রাম্পের জন্য বিব্রতকর হয়ে যেতে পারে। তার শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক কেবিনেট কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নের অনুমোদন নিয়ে সিনেটে এ সময়ে শুনানির সম্মুখীন হবেন।
×