ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব এজতেমা ॥ মুসল্লীরা দলে দলে আসতে শুরু করেছে

প্রকাশিত: ০২:৪৩, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব এজতেমা ॥ মুসল্লীরা দলে দলে আসতে শুরু করেছে

নূরুল ইসলাম/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, টঙ্গী ও গাজীপুর থেকে ॥ টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠানের জন্য টঙ্গী এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। শুক্রবার থেকে আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে তবলীগ জামাতের প্রথম পর্বের ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব এজতেমা। বিশ্ব এজতেমা ময়দানে বুধবার থেকে মুসল্লীরা দলে দলে আসতে শুরু করেছেন। রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের বিশ্ব এজতেমা। চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে। ২২ জানুয়ারি রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের সমাপ্তির মাধ্যমে ২০১৭ সালের বিশ্ব এজতেমা শেষ হবে। টঙ্গীর এই বিশ্ব এজতেমা ময়দানে এটি হবে ৫২তম বিশ্ব এজতেমা। মুসলীদের চাপ কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ৪ভাগে ভাগ করে প্রথম পর্বে ১৬ জেলা, দ্বিতীয় পর্বে ১৬ জেলার মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করবেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশ বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ তবলীগ অনুসারী মুসল্লী বিশ্ব এজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এজতেমার মুসল্লীদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে র্যা ব, পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা সংস্থার সদসদের নিয়ে। স্বাধীনতার পর মহান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গীর বিভিন্ন মৌজায় বিশ্ব এজতেমার জন্য ১৬০ একর ভূমি এজতেমার জন্য বরাদ্দ দেন। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজতেমাস্থলের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে এজতেমাস্থলের ব্যাপক উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, অসমতল ভূমি সমতল করা, পাকা পায়খানা, পাকা গোসলখানা, ওযুখানা, বিদেশী মুসল¬¬ীদের জন্য প্রয়:প্রণালী, রান্না-বান্না, থাকার জন্য স্থায়ী পাকা টিনসেড ঘর নির্মাণ, এজতেমা সড়ক নির্মাণ, ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ ও অন্যান্য উন্নয়নের কাজ সমাপ্ত করান। গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এড. আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন বিশ্ব এজতেমার দেখভালোর সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন। তারা জানান, বিশ্ব এজতেমায় আগত মুসল¬ী¬দের সেবায় সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মুসল্লীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মুসল্ল¬ীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বিআরটিসি স্পেশাল বাস সার্ভিস চালু করেছে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব এজতেমার শেষ দিন পর্যন্ত। টঙ্গী রেলস্টেশনে প্রতিটি ট্রেন ২ মিনিট করে যাত্রা বিরতি করবে। এছাড়া রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড এর সদস্যরা তুরাগ নদীর ওপর ৭টি স্থানে ভাসমান সেতু নির্মানের কাজ সমাপ্ত করেছে। এবছর ২০১৭ সালের ৫২তম এজতেমার দুই পর্বে অংশ নেওয়া ৩২ জেলাগুলো হলো- ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, গোপলগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, সৈয়দপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মেহেরপুর, যশোর, বাগেরহাট, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালি, বরিশাল চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সাতক্ষীরা। আগামী ১৩ থেকে ১৫ এবং চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দুই পর্বের বিশ্ব এজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়েছে। এবারও ৫ স্তরের র্যা ব-পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো এজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের চিকিৎসা সেবায় ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। মুসলী­দের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এজতেমা ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদীর ওপর ৭টি পন্টুন ব্রিজ তৈরি করবে সেনাবাহিনী, ইজতেমায় আগতদের তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে র্যা ব। এ ছাড়া মোটরসাইকেল টহল, নৌ টহল ও হেলিকপ্টারে টহলে থাকবে র্যা ব সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক র্যা ব ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য সাদা পোশাকে পুরো ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করবেন। র্যা বের ৯টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে এজতেমা ময়দানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এজতেমার মোনাজাতের দিন ১১৫টি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে টঙ্গী স্টেশনে। মুসল্লীর জন্য ওজু, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার ও ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করা হবে। বিআরটিসির ৩৫০টি বাস মুসলী­দের যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া বিদেশি মেহমানদের কাকরাইল মসজিদ এবং বিমানবন্দর থেকে ইজতেমা ময়দানে আনার জন্য পর্যাপ্ত এসি বাস বরাদ্দ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার নতুন একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। এজতেমার আগের দিন থেকে ইজতেমা শেষ হওয়ার পর দিন পর্যন্ত পুলিশ মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। ৫ স্তরের নিরাপত্তা পার হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে হবে সবাইকে। এ ছাড়া এজতেমা শুরুর আগে ২০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এজতেমা ময়দানের আশপাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ, বিলবোর্ড ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এছাড়াও বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস, চিকিৎসাসেবা বাস্তবায়ন এবং সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন ও পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, এজতেমা মাঠে স্থাপিত ১২টি উৎপাদন নলকুপের মাধ্যমে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি লিটারেরও বেশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওযু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পাকা দালানে প্রায় ৬ হাজারের মতো টয়লেট ইউনিট রয়েছে। এদের মধ্যে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত ওযু গোসলখানা এবং টয়লেটগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন, র্যা ব, পুলিশ, আনসার ভিডিপিসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য ৫টি কন্টোল রুম এবং র্যা ব ও পুলিশের জন্য ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মান, ২০টি ফগার মেশিন দিয়ে এজতেমা ময়দানে মশক নিধন, এজতেমা চলাকালিন সময়ে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে রাত দিন বর্জ্য অপসারন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা, এজতেমা চলাকালিন রাতদিন ২৪ঘন্টা সিটিকর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ সেবা কার্যক্রম, এজতেমা ময়দানে বিনা মূলে ৫৪টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র মুসলি¬দের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ডেসকো’ কর্তৃপক্ষ জানান, এজতেমা এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রীড ও টঙ্গী নিউ গ্রীডকে মূল ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। যে কোন একটি গ্রীড নষ্ট হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হবে না। ইজতেমা এলাকায় ৪টি ষ্ট্যান্ডবাই জেনারেটর এবং ৫টি ট্রলি-মাউন্টেড ট্রান্সফরমারও সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানান, এজতেমাস্থলে তাদের একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সার্বক্ষণিক কর্মকর্তাসহ ফায়ারম্যানরা অবস্থান করবেন। ময়দানের প্রতি খিত্তায় ফায়ার ডিস্টিংগুইসারসহ ফায়ারম্যান, গুদাম ঘর ও বিদেশি মেহমান খানা এলাকায় ৩টি পানিবাহী গাড়ি, ৩সদস্যের ডুবুরী ইউনিট, ১টি স্ট্যান্ডবাই লাইটিং ইউনিট এবং ৫টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। সূত্র আরো জানায়, এজতেমা মাঠ ও আশপাশের রাস্তা-ঘাট ধূলামুক্ত করতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সার্বক্ষণিক পানি ছিটানোর ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। টঙ্গী সরকারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান, টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নিয়মিত শয্যা ছাড়াও অতিরিক্ত শয্যা বাড়িয়ে মুসল¬ী¬দের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মেডিক্যাল অফিসারদের তালিকা ও ডিউটি রোস্টার করে চিকিৎসকদের সার্বক্ষনিক স্বাস্থ্য সেবা করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুসল¬ীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে মন্নু গেইট, এটলাস গেইট, বাটা কারাখানার গেইট ও টঙ্গী হাসপাতালমাঠসহ ৬টি অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এখানে হৃদরোগ, অ্যাজমা, ট্রমা, বার্ণ, চক্ষু এবং ওআরটি কর্ণারসহ বিভিন্ন ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসা দেবেন। রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এজতেমা মাঠের দায়িত্বে নিয়োজিত মুরব্বী গিয়াসউদ্দিন জানান,তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এজতেমায় দেশি মুসলি¬ ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলীগ জামাতের মুসলি¬রা অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতিবারের মতো এজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ভাবে টিনের ছাউনির মাধ্যমে পৃথক কামড়া তৈরি করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এজতেমা ময়দানে মুসল¬ী¬দের নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বুধবার থেকে ৭ হাজার ৭শ’ পুলিশ সদস্য ২৪ঘন্টা মুসল¬ীদের নিরাপত্তাদানে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও সাদা পোষাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যাপ্ত সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। গাজীপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃহত্তর জেলাগুলোর ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন গাজীপুরে বিভিন্ন সড়কেও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এজতেমায় দুই ধাপের আখেরি মোনাজাতের ১৫জানুয়ারি ও ২২ জানুযারি দিন সকাল ৬টা থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ-টঙ্গী মহাসড়কের মাঝুখান ব্রিজ থেকে স্টেশনরোড ওভারব্রিজ পর্যন্ত সড়ক পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। টঙ্গীর কামারপাড়া ব্রিজ থেকে মুন্নু টেক্সটাইল মিল গেট পর্যন্ত সড়ক পথেও থাকবে একই নির্দেশনা। এদিকে পন্টুন ব্রিজ নির্মাণ ও মুসুলি¬দের চলাচলের সুবিধার্থে কামারপাড়া ব্রিজ থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত তুরাগ নদীর সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল নোঙ্গর করা ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে ২২ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে নৌ-যানগুলো টঙ্গী ব্রিজের পূর্ব পাশে এবং কামারপাড়া সেতুর উত্তর পাশে নোঙ্গর করতে পারবে। এজতেমা চলাকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে আগত মুসল¬ী¬দের বহনকারী যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য মহাসড়ক পরিহার করে টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল কম্পাউন্ড, মেঘনা টেক্সটাইল মিলের পাশে রাস্তার উভয় পাশে শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, চান্দনা চৌরাস্তা হাইস্কুল মাঠ, তেলিপাড়া ট্রাকস্ট্যান্ড এবং নরসিংদী-কালীগঞ্জ হয়ে আগত মুসল্ল¬ী¬দের বহনকারী যানবাহন টঙ্গীর কে-টু ও নেভী সিগারেট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন খোলা স্থান ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। উল্লে¬¬¬খিত সড়ক পরিহার করার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
×