ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪১ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশিত: ০২:১৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪১ নেতাকর্মী কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ॥ জেলার কুলিয়ারচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমসহ ৪১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঃ ছালাম খানের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৪১ নেতাকর্মীর মধ্যে শরীফুল আলম ছাড়াও কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল মিল্লাত, ভাইস চেয়ারম্যান মেসবাহ উল হক, কুলিয়ারচর পৌরসভার কাউন্সিলর আজহার উদ্দিন, কুলিয়ারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ রয়েছেন। এদিকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালতে হাজিরা দিতে আসার খবরে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী আদালতে চত্বরে এসে জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দলের আইনজীবী ফোরামের দুই গ্রুপের মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। পরে নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মামলার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাদের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর ভৈরব, কুলিয়ারচর, কটিয়াদী এবং জেলা সদরে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। কুলিয়ারচরের দাড়িয়াকান্দি ও আগরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য ছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারাসহ দ-বিধির ১৪৩, ৩৩২, ৩৫৩ ও ১১৪ ধারায় মোট ১০০ জনকে আসামী করে দুটি পৃথক মামলা (মামলা নং ৬ ও ৭) দায়ের করা হয়। বুধবার মামলা দুটির আসামী জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমসহ ৪১ নেতাকর্মী কিশোরগঞ্জের আমল গ্রহণকারী আদালত নং-২ এ আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন। এ সময় আদালত তাদের জামিন প্রার্থনা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
×