ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় আইজিপি

লিটন হত্যাকারীদের শীঘ্রই খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

লিটন হত্যাকারীদের শীঘ্রই খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১০ জানুয়ারি ॥ সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় আইজিপি একেএম শহিদুল হক বলেন, খুনীরা এমপি লিটনকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। একজন জনপ্রতিনিধির এই হত্যাকা- কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বাংলাদেশের পুলিশ স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং পুলিশ সর্ব শক্তি দিয়ে এমপি লিটন হত্যাকারীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা যে এলাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠে সেই এলাকায় সন্ত্রাসী জনপদে পরিণত হয়। সুতরাং স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতার কারণেই সুন্দরগঞ্জ সন্ত্রাসী জনপদে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালে এই সুন্দরগঞ্জে সন্ত্রাসীরা নাশকতা ও তা-ব চালিয়ে ৪ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে, রেল স্টেশন, বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গোটা উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এই অশান্তির জনপদকে শান্তির জনপদে পরিণত করতে হবে। এ দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি বলেন, এমপি লিটনের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশের সবগুলো স্পেশালাইসড টিম কাজ করছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। খুনীদের কেউ রেহাই পাবে না। অচিরেই তারা ধরা পড়বে। তিনি এজন্য জনগণের কাছে সঠিক তথ্য দিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানান। এমপি লিটনের বড় বোন আফরোজা বানু বলেন, এমপি লিটন ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সাহসী সৈনিক এবং গ্রামের মানুষের কল্যাণে ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ। তার হত্যাকা-ের ১১ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন যাপন করছি। পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কাছে তাই আমাদের আবেদন হত্যাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করুন এবং তাদের শাস্তি দিন। যেন আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার পেতে পারি। এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দ খুরশিদ জাহান স্মৃতি বলেন, সবার প্রতি আমার আবেদন আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন। যে মানুষটি সবসময় মানুষের কল্যাণ কামনা করতেন, তাকে খুনীরা কিভাবে হত্যা করতে পারে। আমি সেই বর্বর খুনী হায়েনাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। গাইবান্ধা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বামনডাঙ্গা আব্দুল হক মহাবিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য রাখেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ। জেলা উপজেলার কমিউনিটিং পুলিশিং কমিটির সদস্যরা ছাড়াও সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক মানুষ এতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আইজিপি মোঃ শহীদুল হক প্রয়াত এমপি লিটনের বামনডাঙ্গার শাহবাজ মাস্টারপাড়া গ্রামে গিয়ে কবর জিয়ারত করেন। শিবির নেতাসহ আটক ২ ॥ এদিকে, বিডিনিউজ জানায়, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্র শিবিরের এক নেতাসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, সোমবার গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে একজন গাইবান্ধা শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যজনের নাম পুলিশ জানায়নি।
×