ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে নকল ব্যাটারির রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

যশোরে নকল ব্যাটারির রমরমা ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ‘বাইকপট্টি’ হিসেবে খ্যাত উপশহরে ইজিবাইকের কয়েকটি শোরুমে নকল ব্যাটারির রমরমা ব্যবসা চলছে। চায়নার নামী-দামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে এ ব্যাটারি। এক রকম নামমাত্র মূল্যে কিনে এ ব্যাটারি বেশি দামে বিক্রির মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে কতিপয় ব্যবসায়ী। অন্যদিকে নিম্নমানের ও নকল ব্যাটারি কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোর অঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম উপশহরের মানসী সিনেমা হল এলাকায় ইজিবাইকের শোরুম গড়ে ওঠে। এরপর একে একে এখানে গড়ে ওঠে আরও বেশকিছু শোরুম। এসব শোরুমে এক সময় শুধু চায়না থেকে আমদানিকৃত ইজিবাইক বিক্রি করা হলেও বর্তমানে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাটারির ব্যবসা। তবে এই ব্যাটারি অসাধু ব্যবসায়ীদের ভাগ্য খুলে দিলেও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্রেতারা। সূত্র জানায়, নকল ও অতি নিম্নমানের এই ব্যাটারি রাজধানী ঢাকা থেকে আমদানি করা হচ্ছে। মাত্র ৫/৭ হাজার টাকায় কেনা এক একটি ব্যাটারি অসাধুরা বিক্রি করছে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা দরে। চায়নার নামী-দামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি করা হলেও এ ব্যাটারির মান খুবই নিম্ন। ব্যাটারিগুলো অল্পদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়, বেশিক্ষণ চার্জ থাকে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইজিবাইক ব্যবসায়ী জানান, গত এক বছর ধরে কতিপয় অর্থলোভী ব্যবসায়ী এখানে নকল ও নিম্নমানের ব্যাটারির রমরমা ব্যবসা করছে। অবৈধ এ ব্যবসার মাধ্যমে তারা রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। এরা বর্তমানে দামী গাড়িতে চড়ছে। তারা জানান, নকল ব্যাটারি কিনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় লোকজন শোরুমগুলোতে এসে কান্নাকাটি করলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের মন গলে না। বরং তারা পোষ্য লোকজন দিয়ে তাদের দূর-দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। অসাধু ও অর্থলোভীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন তারা। এদিকে ব্যাটারি সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ব্যাটারির আকার, ওজন ও এসিড টেস্ট করলে নকল ধরা পড়বে। তিনি জানান, এ নকল ও নিম্নমানের ব্যাটারিগুলো গোপনে তৈরি হচ্ছে ঢাকায়। এরপর তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ইজিবাইকের শোরুমগুলোতে। অবৈধ এ ব্যবসার ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
×