নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১০ জানুয়ারি ॥ মুরাদনগরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশের পর বখাটে নজরুল ইসলামসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপর ৩ জন হচ্ছে- নজরুলের বাবা আবদুল কুদ্দুছ, বোন রোজিনা আক্তার, ভাবী আমেনা বেগম। গত সোমবার দুপুরে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নজরুলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ প্রদানের পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
জানা যায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভাঙ্গানগর গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে বখাটে যুবক নজরুল ইসলাম এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গত ২৩ ডিসেম্বর ওই এলাকার একটি ইটভাঁটিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই প্রতিবন্ধী চিৎকার করলে স্থানীয়রা নজরুলকে আটক করে। এরপর প্রভাবশালীদের চাপের মুখে নজরুলকে ছেড়ে দেয়া হয়। প্রতিবন্ধীর ভাই নিজাম উদ্দিন এ খবর শুনে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বখাটে নজরুল ও তার সহযোগীরা। পরে স্থানীয়রা আহত নিজামকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ হাইকোর্টের আইনজীবী মুজিবুর রহমান আদালতের নজরে আনার পর সোমবার দুপুরে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বখাটে নজরুলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে আসামিকে গ্রেফতারের অগ্রগতি প্রতিবেদন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও বাঙ্গরা বাজার থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মামলায় অভিযুক্ত ৫ আসামির মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে জেলার হোমনা উপজেলার আলগীরচর থেকে নজরুল এবং অপর ৩ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের জোনারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
