ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কার্ডিফের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

কার্ডিফের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত সোমবার জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আসলে কি হচ্ছে/ উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ এম এম খাইরুল বাশার। মঙ্গলবার এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি দাবি করেছেন, কার্ডিফ স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সকলেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কার্ডিফ ইন্টরন্যাশনাল লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। এটি কোন ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠান নয়। অধ্যক্ষ আরও বলেছেন, কার্ডিফ ইন্টরন্যাশনাল স্কুলে প্রতিদিনই এ্যাসেম্বলি হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। সকল জাতীয় দিবস পালন করা হয়। এছাড়া স্কুলে পড়ালেখা শেষ করার জন্য ‘হেল্প’ ক্লাস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ অভিযোগ করেছেন, টিউশন ফি ও স্কুলের পাওনা পরিশোধ করেননি এমন কতিপয় অভিভাবক অবৈধ সুবিধা আদায়ে চাপ দেন। এ অভিভাবকরা বানোয়াট অভিযোগ সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। থানায় অভিভাবকরা মিথ্যা জিডি করেছেন বলে দাবি অধ্যক্ষের। প্রতিবেদকের বক্তব্য ॥ প্রতিষ্ঠানে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে সাম্প্রদায়িক শিক্ষাক্রম চালু ও অনিয়মের বিষয়ে অর্ধ শতাধিক অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিভাবকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ সাংবাদিকদের সামনে হাজির করেন গত রবিবার। অভিভাবকদের লিখিত বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং একে মিথ্যা, বানোয়াট বলার কোন সুযোগ নেই। অভিভাবকরা যে অভিযোগ করেছেন এবং অভিযোগের স্বপক্ষে জিডিসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখাতে পেরেছেন কেবল তাই উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অভিভাবকরা নিজেরাই অভিযোগ করেছেন যে, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখের মতো জাতীয় দিবস এক বছর ধরে বন্ধ করা হয়েছে। সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা কারিকুলাম ছিল বাধ্যতামূলক তা এখন বন্ধ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে অধ্যক্ষের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে। যেখানে অধ্যক্ষ নিজেই বলেছেন, পহেলা বৈশাখ ছুটি ছিল তাহলে কর্মসূচী কিভাবে পালন হবে? প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি যে, কার্ডিফে এ্যাসেস্বলি হয় না কিংবা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না বা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। অথচ প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অধ্যক্ষ অপ্রয়োজনীয় সেই তথ্য হাজির করেছেন। কেবল তাই নয়, নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের লোক বলে দাবি করলেও অভিভাবকরা অভিযোগনামায় বেশ কয়েকজনের জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছেন। এমনকি প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত দুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে জাতীয় দিবস পালনের অসংখ্য পুরনো ছবি পোস্ট করে কর্তৃপক্ষ নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক বলে প্রমাণের চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবারও একইভাবে দেখা গেছে ছবি পোস্ট করা হয়েছে। অথচ ছবিতেই দেখা যাচ্ছে এসব ছবি দু’তিন বছর আগে তোলা। অভিভাবকরা মঙ্গলবারও পুরনো ছবি পোস্ট করা নিয়ে স্কুলে প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
×