ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে পুলিশ সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

গাজীপুরে পুলিশ সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ সোমবার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে সন্ত্রাসী বুদু মনির ওরফে বুদু চোরা (৩০) নিহত হয়েছে। এ সময় তার সহযোগী আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ওসি আমির হোসেন ও এএসআই সাকলাইন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করেছে। নিহত মনির বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের টিনশেড কলোনিতে থাকত। তার বাবা সিরাজ উদ্দিন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শ্রমিক। তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নলজানি এলাকার বিটিসিএল (টিএ্যান্ডটি) ক্যাম্পাসের সেগুন বাগানে সোমবার ভোর রাতে মনির ও তার ৪/৫ জন সহযোগী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করে অপরাধমূলক কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মনির ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনির ও আনোয়ারকে আটক করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডিবি পুলিশের ওসি আমির হোসেন ও এএসআই মোঃ সাকলাইন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলি, পিস্তল ও চাপাতি উদ্ধার করে। আহত মনিরকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মনিরের বিরুদ্ধে নাশকতা, হত্যা, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগে জয়দেবপুর থানায় ১৫-১৬টি মামলা রয়েছে। সে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৯ জানুয়ারি ॥ সিংড়ায় একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ আলাল হোসেন নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার রাতে সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের নাসিয়ারকান্দি গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আলাল হোসেন একই গ্রামের আলহাজ অনুকুল সরকারের ছেলে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মবিরতি চলছেই নিজস্ব সংবাদদাতা,পার্বতীপুর, ৯ জানুয়ারি ॥ চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা রবিবার থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচী পলন করছেন। কর্মবিরতির আজ দ্বিতীয় দিন। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, খনির সারফেসে(উপরিভাগে) অবস্থান করছেন সাড়ে ৪ শ’ শ্রমিক। খনির ভূগর্ভে রয়েছে ২৮৫ জন। রবিবার সকাল ৬ টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যেই সেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে সৈয়াদুর নামে এক শ্রমিককে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে পাশর্^বর্তী ফুলবাড়ী হেলথ কমপ্লেক্স হাসপাতালে। খনির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনড়। ঘরে ফিরে যাব না। খনির মুখপাত্র ডিজিএম জাফর সাদিক সাংবাদিকদের জানান, খনি কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চেম্বারে। কলেজ জাতীয়করণ দাবিতে হরতাল পালন ॥ আটক ১৭ স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ খানসামা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণের দাবি ও পুলিশী হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচী পালন হয়েছে। হরতাল কর্মসূচীর ফলে সোমবার সকাল থেকেই খানসামা উপজেলার সকল প্রকার দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
×