ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রেনে ক্যান্সার অস্ত্রোপচার

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

ট্রেনে ক্যান্সার অস্ত্রোপচার

কঠোর হাতে ক্যান্সার মোকাবেলা করার বার্তা এবার ছড়িয়ে পড়েছে রেলপথেও। এ অভিযানে শামিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একদল চিকিৎসক। মধ্যপ্রদেশের সাতনায় জীবনরেখা এক্সপ্রেসে ক্যান্সারের যে শল্যচিকিৎসা শুরু হয়েছে, অচিরেই তা পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে দিতে চান তারা। এতদিন ‘হাসপাতাল-ট্রেনে’ চেপে প্রত্যন্ত এলাকায় চোখ, নাক, গলার অস্ত্রোপচার করতেন চিকিৎসকরা। এবার সেই ট্রেনেই মুখ, গলা ও স্তনের ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু অস্ত্রোপচারই নয়, গ্রামে-গঞ্জে চলবে তামাকবিরোধী প্রচারও। ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার একটি গ্রামে ৫২ বছরের এক ব্যক্তির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল। ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের এই চিকিৎসকরা জানান, এখনও এ রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে ক্যান্সারের চিকিৎসা তো দূরের কথা, রোগ নির্ণয় পর্যন্ত সঠিকভাবে হয় না। সেখানকার মানুষের কাছে চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেয়াটাই তাদের লক্ষ্য। প্রত্যন্ত গ্রামে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে প্রায় দু’দশক আগে রেল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ সহযোগিতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই প্রকল্প শুরু করেছিল। সেই প্রকল্পেই পাঁচ কামরার জীবনরেখা এক্সপ্রেস চালু করা হয়। চলতি কথায় তারই নাম হয়েছে ‘হাসপাতাল-ট্রেন’। চোখ, নাক ও গলার অস্ত্রোপচারের জন্য এর ভেতরে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) এবং অন্যান্য অবকাঠামো ছিল। এবার ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের জন্য অতিরিক্ত দুটি কামরা যোগ করা হয়েছে। উন্নত সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো হয়েছে ওটি। হাসপাতাল ট্রেনের পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ক্যান্সার চিকিৎসক সৌরভ দত্ত বলেন, এক্ষেত্রে মানুষকে চিকিৎসার জন্য ঘটিবাটি বিক্রি করতে দৌড়াতে হবে না। চিকিৎসাই পৌঁছবে মানুষের নাগালে। চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের আগের দিন রোগীকে পর্যবেক্ষণের জন্য ট্রেনে রাখার অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অস্ত্রোপচারের পরবর্তী চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরের তিন ঘণ্টা রোগীকে ট্রেনেই রাখা হবে। তার পরে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হবে। একেকটি স্টেশনে ২-৩ সপ্তাহ করে দাঁড়াবে ট্রেনটি। -ইয়াহু নিউজ
×