নিরাপত্তা চাইলে জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত নয় ॥ এরশাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ৯ জানুয়ারি ॥ সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ বলেছেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাকে যেভাবে প্রকাশ্যেই নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হলো তারপরে এমপিদের নিরাপত্তা কোথায়? তবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি পুলিশ প্রটোকলে চলাচল করেন তাহলে জনগণের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হবে। তারা জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। যে সব জনপ্রতিনিধি সরকারী নিরাপত্তা চায় তাদের জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত নয়। তিনি তিন দিনের সফরে এসে সোমবার দুপুর ১২টায় নগরীর দর্শনামোড়ের পল্লী নিবাস বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরে এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের সাংগঠনিক অবস্থা ভাল। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত মানা না মানায় কিছুই যায় আসে না বলে মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে আর তাতে যদি আমরা সমর্থন দেই সেটাই চূড়ান্ত হবে। কারণ, বিএনপির অবস্থা এখন খুবই করুণ। তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে গেছে। তাই তাদের রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মানা না মানায় এখন আর কিছুই যায় আসে না। নিজের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, আমার নামে সব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনপি সরকারের আমলে জজ সাহেবরা আমাকে শাস্তি দিতে চাননি বলে তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ পর্যন্ত করা হয়েছিল। এখন খালেদা জিয়া দেখছি আদালতে যান। তিনি কবে জেলে যাবেন সেই অপেক্ষায় আছি। এ সময় জেলা জাপার আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এসএম ইয়াসীর, জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে অবতরণ করে সড়ক পথে সার্কিট হাউসে পৌঁছে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন এরশাদ।