ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেসক্রিপশনে হাতের লেখা স্পষ্ট করার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

প্রেসক্রিপশনে হাতের লেখা স্পষ্ট করার নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিচালক এএসএম নাসিরউদ্দিন এলান ও সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্রর বিরুদ্ধে হেফাজতের তা-ব চালানোর ঘটনা বিকৃত করার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলা সংক্রান্ত আপীল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মামলা চলতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। অন্যদিকে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) পড়ার উপযোগী ও স্পষ্ট এবং বড় অক্ষরে লেখার নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে সার্কুলার জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে বায়রার সেক্রেটারির বিরুদ্ধে রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট গঠনের সঙ্গে জড়িত মর্মে আনা অভিযোগ সঠিক কিনা তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘আমার দেশ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। সোমবার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছে। প্রেসক্রিপশন বড় অক্ষরে লিখতে হবে ॥ চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) পড়ার উপযোগী ও স্পষ্ট এবং বড় অক্ষরে লেখার নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে সার্কুলার জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে এই সার্কুলার জারির বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকরা কী লেখেন তা বুঝতে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে অনেকেরই। তবে ঢালাওভাবে সব চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নেই। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এছাড়া প্রেসক্রিপশন পড়ার যোগ্য অক্ষর অথবা বড় হাতের অক্ষর অথবা ছাপা অক্ষর; এই তিনটির যেকোন একটি পদ্ধতিতে দেয়া হয় সে বিষয়ে কেন সরকারকে নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং ওষুধের নাম জেনারিক টার্মে (প্রকৃত নাম) কেন লেখা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রার, বিএমএর মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। গত ১৭ ডিসেম্বর ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র: ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
×