ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়ানগর নয় ইন্দুরকানি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

জিয়ানগর নয় ইন্দুরকানি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ‘জিয়ানগর’ উপজেলার নাম বদলে আগের নাম ‘ইন্দুরকানি’তে ফিরে যেতে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া নিকারের সভায় কুমিল্লার লালমাইকে নতুন উপজেলা এবং চট্টগ্রামের দোহাজারীকে পৌরসভায় উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিকার সভা হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানি নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মূল থানাটির নাম ইন্দুরকানি। কিন্ত ২০০২ সালের ১৭ এপ্রিল এটিকে উপজেলা সৃষ্টি করে এর নাম দেয়া হয় জিয়ানগর। এখন উপজেলা ও থানা দুই নাম হয়ে গেছে। এলাকার জনগণ পুরনো নামে ফেরত যেতে চাচ্ছে। জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রস্তাবটি এসেছে। এখন এর নাম থাকবে শুধু ইন্দুরকানি। ২০০২ সালে নাম জিয়ানগর করার বিষয়ে স্থানীয় জনগণের কোন দাবি ছিল কিনা, এছাড়া জিয়ানগর নামটি এলোইবা কিভাবে- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ তথ্য আমাদের কাছে নেই। নামটি কোন্্ জিয়ার (প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নাকি অন্য কোন জিয়া) নামে করা- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, এটা কি মেজর জিয়া, যিনি সুন্দরবনে কাজ করেন তার নামে নাকি অন্য কারও নামে আমরা এটা জানি না। ২০০২ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ানগর উপজেলা সৃষ্টি হয়েছিল। ৪৯১ নম্বর উপজেলা লালমাই ॥ নিকার কুমিল্লা জেলায় লালমাই নামে একটি উপজেলা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সদরের ১৫ ইউনিয়নের আটটি ও লাকসামের একটিসহ মোট নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলাটি হবে। এটি হবে দেশের ৪৯১ নম্বর উপজেলা। এর জনসংখ্যা হচ্ছে ২ লাখ ২০ হাজার ৩২। আয়তন ১৪৭ দশমিক ০৩ বর্গকিলোমিটার। এ উপজেলার হেডকোয়ার্টার জয়নগর মৌজায় প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন পৌরসভা দোহাজারী ॥ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ইউনিয়ন একটি বড় জনপদ। এটাকে পৌরসভা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখানে ইতোমধ্যে পৌরসভার চেয়ে বড় কাঠামো হয়ে গেছে। নতুন এ পৌরসভার জনসংখ্যা ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এখানকার মোট জমির ৭৬ শতাংশ হচ্ছে কৃষি জমি। আয়ের একটা বিষয় আছে। তিন বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা আয় হতে হবে। এ এলাকার আয় ৭২ লাখ ১৩ হাজার টাকা। সেই হিসেবে এটা পৌরসভা হওয়া সমীচীন।
×