ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘কোন অপশক্তিকে ছাত্রলীগে প্রশ্রয় দেয়া হবে না’

জঙ্গীরা তলে তলে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

জঙ্গীরা তলে তলে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গীরা আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তলে তলে বড় হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিকার, প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করতে হবে। প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান বাদলের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের সামনে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভোটের রাজনীতিতে পরাজিত করতে না পেরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এখন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভোটের রাজনীতিতে তাকে পরাজিত করতে পারবে না জেনে তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আর এ লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী অপশক্তি কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভয়ঙ্কর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই এসব অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে নেতাকর্মীদের সদা সজাগ, সচেষ্ট থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ভারি করতে ছাত্রলীগে কোন অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। কারণ অপশক্তিরা দলে এসে বিভিন্ন অপকর্ম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ম্লান করে দেবে। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতাদের সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভা মঞ্চ পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীতে কোন রাজনৈতিক দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া, না দেয়া সরকারের বিষয় নয়। ‘কর্মসূচী পালনে সরকার দ্বৈত নীতি পালন করছে’- সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কোন নৈরাজ্যের (বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে) আভাস-ইঙ্গিত পেয়েছে কিনাÑ আমার তো মনে হয় সে রকম কোন বিষয় থেকে তারা অনুমতি দেয়নি। তিনি বলেন, অতীতে দেখা গেছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও সমাবেশের নামে সহিংসতা করেছিল। এখানেও সে রকম কিছু ছিল কি-না, সেটা ডিএমপি জানে, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমরা (আওয়ামী লীগ) এখানে যারা আছি তারা অনুমোদন দেয়ার কেউ না। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সম্মেলনের পর এটাই আমাদের প্রথম জনসভা আর তাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এখানে নীতিনির্ধারণীমূলক বক্তব্য রাখবেন। একদিকে আমাদের উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা, আরেকদিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে কিছু বাধা আছে, সেটা আসতে পারে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ থেকে। এ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করার আহ্বানও তিনি এ জনসভা থেকে দিতে পারেন বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, জনসভা নিয়ে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ঢাকা ও আশাপাশ থেকে কয়েক লাখ মুজিবপ্রেমী লোকের স্বতঃস্ফূর্ত সমাগম হবে।
×