ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি বিমানের সাত কর্মকর্তা রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি  বিমানের সাত  কর্মকর্তা রিমান্ড শেষে কারাগারে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির মামলায় বিমানের সাত কর্মকর্তাকে দুই দফা ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল হয়দার চৌধুরী শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। আসামিরা হলেন বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেনটেন্যান্স এ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন। গত ২২ ডিসেম্বর ৭ দিন এবং ৩০ ডিসেম্বর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহবুবুল আলম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। এরও আগে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। ২৭ নবেম্বর বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা। তাদের ওপর ওই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা গত ২৬ নবেম্বর ওই উড়োজাহাজ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ওই উড়োজাহাজ গত ২৭ নবেম্বর সকাল ৯টা ১৪ ঘটিকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। অনুমানিক ২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ওড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান। এর পর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় পাইলট উড়োজাহাজটি নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই তুর্কমেনিস্থানের রাজধানীতে অবতরণ করতে বাধ্য হন। এর পর বাঁ পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করে প্রধানমন্ত্রী ওই উড়োজাহাজেই বুদাপেস্ট যান। বিমান কর্তৃপক্ষ গত ২৮ নবেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যর্থতা উঠে আসে। এর পর গত ২০ ডিসেম্বর রাতে দ-বিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
×