ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ সিরিজেও ধবলধোলাই বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৭

টি২০ সিরিজেও ধবলধোলাই বাংলাদেশ

মিথুন আশরাফ ॥ ওয়ানডে সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রবিবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে তৃতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচে ২৭ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। প্রথম টি২০তে ৬ উইকেটে ও দ্বিতীয় টি২০তে ৪৭ রানে হেরেছিল মাশরাফিবাহিনী। টি২০ সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হওয়াতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে টানা ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারল বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৭৭ রানে, দ্বিতীয়টিতে ৬৭ রানে ও তৃতীয়টিতে ৮ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই দলের মধ্যকার হারের ব্যবধান তাই ৬-০ হয়ে দাঁড়াল। নিউজিল্যান্ড ৬-০ বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টস জিতে বাংলাদেশ। আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় নিউজিল্যান্ডের রান তরতর করে বাড়তে থাকে। কোরি এ্যান্ডারসনের দুটি ক্যাচ মিস হয়। সুযোগ পেয়ে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসই খেলে ফেলে এ্যান্ডারসন। তার সঙ্গে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৬০ রান করায় ৪ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৯৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। এত বিশাল রান টপকে যে জয় পাবে না বাংলাদেশ তা নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হতেই বোঝা হয়ে যায়। তাও আবার তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মাশরাফি বিন মর্তুজা ফিল্ডিং করার সময় ইনজুরিতে পড়েন। ব্যাটিং করাই তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। তামিম তাও ব্যাটিং করেন। কিন্তু মাশরাফি ও ইমরুলতো সেটিও করতে পারেননি। অবশ্য সেই সুযোগ মিলেওনি। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করতেই ২০ ওভার শেষ হয়ে যায়। সৌম্য সরকার ওপেনিংয়ে নেমে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। যেটি বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর হয়ে থাকে। ইমরুল ও মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় ব্যাটিং করতে পারবেন না। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হতেই তা নিশ্চিত হয়ে যায়। তার মানে বাংলাদেশের নয় ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিং করতে হবে। তা করতেও হয়নি। এদিনও বাংলাদেশের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। ৪৪ রানে তামিম ও ৮২ রানে গিয়ে সৌম্য আউট হয়ে যান। এরপর আর বড় জুটির দেখা মিলেনি। সৌম্যের পর সাকিব (৪১) চল্লিশ রানের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। তামিম ত্রিশ রানের ঘরে পৌঁছান। তবে আর কোন ব্যাটসম্যানই সেই ঘর খুঁজে পাননি। তাতে করে ১৬৭ রানের বেশি করতেও পারেনি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন রুবেল হোসেন। তিনি ৩ উইকেট নেন। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। দুুটি উইকেটই নেন রুবেল। তবে চতুর্থ উইকেটে গিয়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়। এলোমেলো করে দেন উইলিয়ামসন ও এ্যান্ডারসন। দুইজন মিলে ১২৪ রানের জুটি গড়েন। যে জুটিতেই ১৬০ রানের বেশি করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ১৬৫ রানে গিয়ে উইলিয়ামসন আউট হন। তবে এরপর আর কোন ব্যাটসম্যানের উইকেট নেয়া যায়নি। তামিম ও সাকিবের কাছ থেকে দুইবার ‘নতুন জীবন’ পেয়ে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করতে শুরু করেন এ্যান্ডারসন। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ২ চার ও ১০ ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করে দলকে ১৯৪ রানে নিয়ে গিয়ে মাঠ ছাড়েন। বারবার এমন হচ্ছে। ভাল একটি শুরুর পর আর সেটি ধরে রাখা যাচ্ছে না। আর তাই জয়ের বন্দরেও পৌঁছা যাচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে? সাকিব জানালেন, ‘সত্যি বলতে কি ওদের কন্ডিশনে ওরা অনেক ভাল দল। আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে হয়তো জেতার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারতাম। তবে ট্যাকটিক্যালি আর টেকনিক্যালি ওরা নিজেদের কন্ডিশনে অনেক ভাল দল।’ সঙ্গে মুশফিকের অভাববোধও হয়েছে বলে জানান সাকিব, ‘উনার (মুশফিকের) অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমাদের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা উনি। স্বাভাবিকভাবেই তার না থাকাটা আমাদের জন্য বড় একটা অভাব হয়ে এসেছে। আশাকরি, টেস্টে উনি খেলবেন, আর ভালও করবেন।’
×