ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৭

বরিশালে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে বখাটে যুবককে ছেড়ে দেয়ায় দারোগাকে ক্লোজড করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় এ ঘটনার তদন্তে নেমেছেন ওসি ডিএসবি (ওয়াচ) আব্দুল মালেক। শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল আগৈলঝাড়ার ফুল শ্রী গ্রাম পরিদর্শন করে গ্রামবাসী ও যৌনহয়রানির শিকার নারীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। সূত্রমতে, এর আগে গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে একই ঘটনায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ আজাদ ঘটনার তদন্ত করেন। ওই সময় থানার ওসি মনিরুল ইসসলাম নিজের দোষ এএসআই শাহাবুর রহমানের ওপর চাপিয়ে দেন। কারণ ওসির নির্দেশে এএসআই শাহাবুর বখাটে আল-আমিনকে ৩১ ডিসেম্বর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। পরের দিন সকালে আল-আমিনেকে মোটা অংকের টাকা অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেন ওসি। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথম তদন্তে ওসি মনিরুল ইসলামের ‘উদোর পি-ি, বুদোর ঘাড়ে চাঁপিয়ে দেয়ায় নিরপরাধ এএসআই শাহাবুরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। এনিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় তদন্ত শুরু হয়। সূত্রমতে, বাকাল ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ শাহ আলম ফকিরের বখাটে ছেলে আল-আমিন ফুল্লশ্রী গ্রামের কবির ফকিরের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, তার মেয়ে কুহেলী আক্তার কলিকে দীর্ঘদিন থেকে যৌনহয়রানি করে আসছিল। এছাড়াও একই গ্রামের স্বপন মৃধার স্ত্রী মাহামুদা ওরফে পুতুলকেও যৌনহয়রানি করে বখাটে আল-আমিন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ গ্রেফতার করলেও থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বখাটেকে ছেড়ে দেন। স্থানীয় গ্রাম্য মোড়ল আব্দুর রব ফকির জানান, বখাটে আল-আমিন নেশায় আসক্ত হয়ে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নারীদের যৌনহয়রানি করে আসছে। এ কারণে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আল-আমিনকে তিন বছরের জন্য এলাকা থেকে বিতাড়িত করার রায় ঘোষণা করা হয়। ওই সালিশ বৈঠকের পর বখাটে আল-আমিন দীর্ঘদিন অন্যত্র থেকে এলাকার এসে নারীদের হয়রানি শুরু করে।
×