ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে ১১ কোটি টাকা কার পকেটে- বাস মালিক গ্রুপের প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ৯ জানুয়ারি ২০১৭

সাড়ে ১১ কোটি টাকা কার পকেটে- বাস মালিক গ্রুপের প্রশ্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৮ জানুয়ারি ॥ প্রতি মাসে পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের নামে চাঁদা উঠানো হয় ২৪ লাখ টাকা। যদিও সাড়ে তিন বছর মোটর মালিক গ্রুপের কোন নির্বাচিত কমিটি নেই। দীর্ঘ এই সময়ে মোট চাঁদা উঠেছে সাড়ে ১১ কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই টাকা ঢুকছে কার পকেটে। এখন মোটর মালিক গ্রুপের সকল কার্যক্রম দেখ-ভালের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের ওপর। যেহেতু এই দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। মোটর মালিক গ্রুপের এক পক্ষের দাবি এই টাকার হিসাব দিতে হবে প্রশাসনকেই। রবিবার পাবনা প্রেসক্লাবে পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের এক অংশের অর্ধশত সদস্য সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় দীর্ঘদিন ধরে মোটর মালিক গ্রুপের কোন কমিটি নেই। আমরা বারবার দাবি করেছি গণতান্ত্রিক নিয়মে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য। এর জন্য আমরা বহুবার পাবনা জেলা প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়েছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। বরং চাঁদাবাজ গ্রুপ প্রতিদিন জেলার অভ্যন্তরে এবং আন্তঃজেলা বাসসমূহ থেকে চাঁদা তুলছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও মিলছে না কোন সহায়তা বা প্রতিকার। মোটর মালিকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ী এম এ কাফি সরকার, মোশারফ হোসেন, আশিফ মাহমুদ, খায়রুল আলম, প্রভাষ কুমার ভদ্র ও আলাল উদ্দিন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে মোটর মালিক গ্রুপের দু’পক্ষকে ডেকে মিটিং করেন। মিটিংয়ে জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালো মোটর মালিক গ্রুপের এক পক্ষের নেতা আহসান খান রেয়নকে তিন দিনের মধ্যে হিসাব বুঝে দিতে বলেন। কিন্তু এরই মধ্যে গত হয়েছে তিন মাস। হিসাব মেলেনি। এরপরও তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য মাইকিং করা হয়। কয়েকদিন চাঁদা উঠানো বন্ধ থাকে। এরপর আবার চাঁদা উঠানো হচ্ছে। সমস্যার সমাধান না হলে মোটর মালিক গ্রুপের এক পক্ষ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবে। প্রয়োজনে তারা পরিবহন ধর্মঘটের কথাও বলেন। এ ব্যাপারে পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালোর মতামত জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
×