ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চেনা চাকরি নয়, এ পেশায় রয়েছে মোটা মাইনের হাতছানি

প্রকাশিত: ২০:০৬, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

চেনা চাকরি নয়, এ পেশায় রয়েছে মোটা মাইনের হাতছানি

অনলাইন ডেস্ক ॥ এ ঠিক ১০টা-৫টার চাকরি নয়। এমন কিছু পেশা রয়েছে যাতে নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর সুযোগ রয়েছে ভরপুর। পাশাপাশি, মাস মাইনের অঙ্কটাও বেশ লোভনীয়। এ দেশে সে সব পেশার চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। তাই চেনা চাকরিতে যদি মন হাঁসফাঁস করে তবে বদলে ফেলতে পারেন আপনার পেশা। গ্যালারিতে রইল এমন কতগুলি পেশার হদিশ। মেকআপ আর্টিস্ট: শুধুমাত্র সেলিব্রিটিদের জন্যই নয়, কেতাদুরস্ত বহু বাড়িতেই বিয়ে বা পার্টির সাজের জন্য ডাক পড়ছে মেকআপ আর্টিস্টদের। এ দেশে এক জন নামী পেশাদার দিনে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন। আর বিয়ের মরসুমে তো এই দর আরও চড়ে যায়। বড়সড় সোশ্যাল ইভেন্টের জন্য পেতে পারেন এক লক্ষ টাকাও। সেলিব্রিটি ম্যানেজার: সেটা কী রকম পেশা? আদতে কর্পোরেট ম্যানেজারদের মতোই এই কাজে সেলিব্রিটিদের দেখভাল করতে হয়। তাঁদের ট্র্যাভেল প্ল্যান থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজের রোজনামচা ম্যানেজ করা সেলিব্রিটি ম্যানেজারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ দেশে এটির কনসেপ্ট নতুন হলেও দিনকে দিন এই পেশার চাহিদা বাড়ছে। প্রতি মাসে রোজগার করতে পারেন ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ওয়েডিং প্ল্যানার: বিয়ের কেনাকাটা-দৌড়ঝাঁপ, অতিথি সামালানোর হ্যাপা পোহাতে না চাইলে সোজা চলে যান ওয়েডিং প্ল্যানারের কাছে। বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সারতে এই পেশার মানুষজনের জুড়ি মেলা ভার। পেশাদার হিসেবেও ওয়েডিং প্ল্যানারের রোজগার বেশ লোভনীয় অঙ্কের। ধরুন, বিয়ের বাজেট এক কোটি টাকার হলে তার ১০ শতাংশের হিসেবে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। ওয়াইন টেস্টার: পাঁচতারা হোটেল বা নামী রেস্তোরাঁতে এই পেশার মানুষজনের কদর বেশি। ঠিক কী কাজ করতে হয়? ওয়াইনের স্বাদ চেখে দেখাটাই মূলত কাজ। ওয়াইন টেস্টারের মতামতের ভিত্তিতেই সেই ওয়াইন রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা যাবে কি না তা ঠিক করেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এক জন অভিজ্ঞ ওয়াইন টেস্টার মাসে ২ লাখ পর্যন্ত টাকা আয় করতে পারেন। ফোটোগ্রাফার: এই সেলফির যুগেও পেশাদার ফোটোগ্রাফারদের চাহিদা বাড়ছে। আপনার কাজের গুণমানের উপরেই নির্ভর করে রোজগার। ফ্যাশন, ওয়াইল্ডলাইফ, ল্যান্ডস্কেপ, স্পোটর্স, ইভেন্ট— নিজের পছন্দমতো নানা ধরনের ফোটোগ্রাফি করতে পারেন। কিছুটা অনিশ্চিত হলেও এই পেশার মানুষজনের রোজগার মাসে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্তও হতে পারে। ইউটিউবার: আপনার সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে পারেন এই পেশার মাধ্যমে। নাচ-গান, ছবি, নাটক, অভিনয় বা নিজের তৈরি কনটেন্ট ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। ডিজিটাল মিডিয়ার সৌজন্যে তা পৌঁছে যাবে দুনিয়ার নানা প্রান্তে। আর লাইকের বন্যা বইলে পেয়ে যাবেন অসংখ্য স্পনসরও। তাঁরাই আপনার পরের কাজে টাকা ঢালবেন। ফলে, প্রতিভা থাকলে আপনিও থাকতে পারেন দুনিয়ার নজরে। আর রোজগার? নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না গেলেও তা বেশ লোভনীয়। ব্লগার: সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমার যুগে ব্লগিং-কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। কোন বিষয়ে ব্লগ লিখবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা কোনও ব্লগিং সাইটে আপনার কনটেন্ট আপলোডও করতে পারেন। এই পেশায় স্পনসরশিপের অভাব নেই। ফলে এতে আয়ও বেশ ভাল। ভয়েসওভার আর্টিস্ট: সুকণ্ঠের অধিকারী হলে এই পেশায় আসতে পারেন। নিজের ভয়েস স্যাম্পল আপলোড করতে পারেন ইউটিউবেও। রেকর্ডিং-এর অফার পেলে ঘণ্টা প্রতি ১-৫ হাজার পর্যন্ত রোজগার হতে পারে। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট: দেশীয় বাজারে এ পেশার দাহিদা সব সময়ই রয়েছে। আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা ছাড়াও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ঘরবাড়ি খুঁজে দেওয়ার কাজে পটু হতে হবে। মাস মাইনে ছাড়াও রয়েছে মুনাফার একটা বড়সড় অংশ পকেটে আসতে পারে। পার্সোলান শপার: বিদেশে এই কনসেপ্ট বহু আগে থেকে চালু থাকলেও এ দেশে তা নতুন। তবে বহু সেলিব্রিটিরই পার্সোনাল শপার রয়েছে। সেলিব্রিটিদের পছন্দ মাথায় রেখে শপিং করাই এঁদের কাজ। মাসের শেষে আসতে পারে এক লক্ষ টাকারও বেশি মাইনে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×