ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সানচেজের কোন দোষ দেখছেন না ওয়েঙ্গার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

সানচেজের কোন দোষ দেখছেন না ওয়েঙ্গার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাঠে ফুটবলারদের আচরণের দিকে কড়া নজরদারির বিষয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার চালুর প্রক্রিয়া চলমান। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা চাইছে যাতে করে ফুটবল আরও পরিশীলিত ও ঝামেলাহীন হয় সেজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে খেলোয়াড়দের মনোভাব ও ব্যবহারটা দেখতে। কারণ ফুটবল মাঠে এটা চিরাচরিত নিয়ম হয়ে গেছে খেলোয়াড়দের মধ্যে ও রেফারিদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের রূঢ় আচরণ। আরেকবার সেই চিন্তাভাবনাকে যেন দৃঢ়তা দিলেন এ্যালেক্সিস সানচেজ। আর্সেনালের এ চিলিয়ান ফরোয়ার্ড গত মঙ্গলবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে বোর্নমাউথের ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেটা প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড়ের ওপর নয়, সতীর্থ মিডফিল্ডার এ্যারন রামসের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তীব্র বাক্যবাণ ছুড়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চললেও আর্সেনাল কোচ আরসেন ওয়েঙ্গার পক্ষ নিলেন সানচেজেরই। ওয়েঙ্গার মনে করেন চিলির এ তারকার আচরণ একেবারেই স্বাভাবিক ছিল ম্যাচের পরিস্থিতি অনুসারে। বোর্নমাউথের কাছে শুরুতেই তিনটি গোল হজম করে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল আর্সেনাল। এমন একটি অভাবিত পরিস্থিতি সৃষ্টিতে গানার্স শিবিরে ছিল হতাশা- সেটা ক্ষোভের আগুন জ্বেলে দিয়েছিল সবার মনে। তবে ম্যাচশেষে একটি সুখী দল হিসেবেই মাঠ ছেড়েছে আর্সেনাল ৩-৩ গোলে ড্র করে। ৭০ মিনিটের সময় সানচেজই প্রথম গোলটি করেন গানার্সের পক্ষে। ওই গোলটি করার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। সেটার রেশ পড়ে এমনকি সতীর্থ রামসের ওপরও। বৃহস্পতিবার বেশকিছু গণমাধ্যম ফলাও করে বিষয়টি প্রতিবেদনে তুলে ধরে। ম্যাচ শেষে সতীর্থদের সঙ্গে এমনকি কথা বলাও বন্ধ করে দিয়ে ড্রেসিং রুমে বসে ছিলেন মুখ গোমড়া করে। ২৮ বছর বয়সী চিলির এ ফরোয়ার্ডের নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে তীব্র প্রশ্নবাণ হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে ওয়েঙ্গার বলেন, ‘এ বিষয়ে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? সবাই চেয়েছিল ম্যাচটা জিততে। যখন কেউ জিততে পারে না তখন তো অবশ্যই সবার মধ্যে আক্ষেপ ও অসুখী মনোভাবটা কাজ করে। এটাই স্বাভাবিক। তীব্র আকাক্সক্ষা ও ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কেউ প্রিমিয়ার লীগের এমন একটা ম্যাচে তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ৭০ মিনিট পর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না। প্রথমত আমি এটাকে একেবারেই বিরল ঘটনা বলব। কারণ প্রিমিয়ার লীগে এটা ঘটে না এবং এজন্য আসলে বিশেষ ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন হয় যেটা ঘটাতে পেরেছে দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু আমরা ম্যাচটি জিততে চেয়েছিলাম। সেটা পারিনি বলে সবাই খুব হতাশাগ্রস্ত ছিল। সে কারণে অবশ্যই তার (সানচেজ) আচরণটা স্বাভাবিক মনে করি।’ ২৮ বছর বয়সী সানচেজের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি এখন পর্যন্ত আটকে আছে। গণমাধ্যমগুলোর দাবি তার মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার পেছনে এটাও বড় কোন কারণ হতে পারে। ওয়েঙ্গার যেমনই বলুন তার আচরণ নিয়ে, আগামী এক সপ্তাহ সানচেজকে বিশ্রামে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিলের সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন আটকে আছে। তিনি এফএ কাপে তৃতীয় রাউন্ডে খেলবেন গানার্সের হয়ে।
×